আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে খামারিদের মাঝে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। খামারিরা তাদের গরু-ছাগল কোরবানির জন্য প্রস্তুতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে গো-খাদ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় অনেকটাই চিন্তিত খামারিরা।
সারেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গরু নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও খামারিরা। কোনো প্রকার ক্ষতিকর ইনজেকশন ও ট্যাবলেট ব্যবহার না করেই দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন এসব খামারিরা। তবে বাজারে গো-খাদ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় অনেকটাই চিন্তিত খামারিরা। অপরদিকে খামারিদের অভিযোগ স্থানীয় প্রাণীসম্পদ থেকে দেয়া হয় না কোন ধরণের সহযোগিতা। সবমিলিয়ে লাভ নিয়ে চিন্তিত খামারিরা।
এদিকে জেলা প্রাণীসম্পদ কর্তৃপক্ষ বলছে, খামারিদের যে কোন সহযোগিতা করছেন তারা।
জেলা প্রাণীসম্পদের দেয়া তথ্য মতে, আসন্ন কোরবানি ঈদের জন্য জেলায় ১ লাখ ৩০ হাজার পশু বাণিজ্যিক ও পারিবারিক ভাবে পালন করেছেন খামারি ও গৃহস্থরা। এর মধ্যে ৭৩ হাজার গরু ও ৫৭ হাজার ছাগল পালন করা হয়েছে। যা চলতি বছরের কোরবানির লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো সম্ভব। এছাড়াও জেলায় মোট ২৪ টি হাট রয়েছে কোরবানীর পশু বিক্রির জন্য।
ঠাকুরগাঁও উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হেমন্ত কুমার রায় বলেন, আমাদের পক্ষে থেকে খামারিদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হয়। যে সকল খামারিরা বলছেন আমরা তাদের সহযোগিতা বা পরমার্শ দেইনা তারা হয়তো আমাদের এখানে আসেন না। তাই সকলকে এখানে আসতে হবে।
Share On:
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply