ফেরি ডুবির ঘটনায় ইঞ্জিন মাস্টার নিখোজ,তদন্ত কমিটি গঠন
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ঘন কুয়াশার কারণে আটকে থাকা ফেরি রজনীগন্ধা-৭ যানবাহন নিয়ে নদীতে ডুবে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে কারো মৃত্যুর তথ্য মেলেনি। কতজন নিখোঁজ আছেন, সেটাও স্পষ্ট নয়।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পদ্মায় আস্তে আস্তে ফেরিটি ডুবে যেতে থাকে।
ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সকাল সোয়া ৮টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে বিআইডব্লিউটিসির ফেরি রজনীগন্ধা-৭ ডুবে যাওয়ার খবর পান তারা।
এরপর আরিচা ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিট সেখানে গিয়ে কাজ শুরু করে। ঢাকার সিদ্দিক বাজার থেকে আরো একটি ডুবুরি ইউনিট ঘটনাস্থানের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা সেখানে ছয়জনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে কারো মৃত্যুর তথ্য মেলেনি।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “ঘন কুয়াশার কারণে ফেরিটি ঘাটের কাছাকাছি নোঙর করা ছিল। একটি ছোট মালবাহী জাহাজ ফেরিটিকে ধাক্কা দিলে সেটি ডুবে যায়। ফেরির ইঞ্জিন মাস্টারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রজনীগন্ধা-৭ একটি ইউটিলিটি টাইপ (ছোট) ফেরি। অন্তত পাঁচটি ছোট ট্রাক এবং দুটি বড় ট্রাক ওই ফেরিতে ছিল।
“ট্রাকের কর্মী ও ফেরির কর্মীরা ছাড়া আর কোনো যাত্রী ছিল বলে আমার কাছে এখন পর্যন্ত তথ্য নেই। সকলকে উদ্ধার করা হয়েছে, শুধু ফেরির চালকের সহকারীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।”
তবে পাটুরিয়া ঘাটে বিআইডব্লিউটিসির এজিএম আব্দুস সালাম বলেছেন, ওই ফেরিতে ট্রাক ছিল নয়টি।
এর আগে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ অক্টোবর সতেরটি ট্রাক, একটি প্রাইভেটকার ও আটটি মোটরসাইকেল নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে ডুবে যায় ফেরি শাহজালাল।
Share On:
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply