| |
ভিডিও
ads for promotions
/
জাবিতে ধর্ষণ; এখনো গ্রেফতার হয়নি মূল হোতা, টর্চার সেল সিলগালা

জাবিতে ধর্ষণ; এখনো গ্রেফতার হয়নি মূল হোতা, টর্চার সেল সিলগালা

নিউজ ডেস্ক: নাগরিক আলো

প্রকাশিত: 07 February, 2024

  • 52
বহিরাগত এক দম্পতিকে ডেকে এনে স্বামীকে আবাসিক হলে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ঘটনার পরদিন থেকেই টানা বিক্ষোভ সমাবেশ, মশাল মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ধর্ষণের তৃতীয় দিনেও গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা থেকে ২টা পর্যন্ত মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

জাবির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’র ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেয়। 

এ সময়, বক্তারা ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি, আবাসিক হল থেকে অছাত্রদের বের করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আলমের পদত্যাগ এবং যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত পাবলিক হেল্থ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির অব্যাহতির দাবি জানান। 

এসব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

মানববন্ধনে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আনিছা পারভীন জলী বলেন, ধর্ষণের ঘটনার ৩ দিন পরও হল থেকে অছাত্রদের বের করা হয়নি। 

প্রশাসন আমাদেরকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করার কথা বলে শুধুমাত্র একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।

 এমনকি অভিযুক্তদের সনদ স্থায়ীভাবে বাতিলের কথা থাকলেও তারা সনদ স্থগিত করে। আমরা বারবার দেখেছি উপাচার্য যেকোনো আন্দোলনের সময় আশ্বাস দিয়ে তার কথা বাস্তবায়ন করেনা। 

যেমনটি আমরা মাহমুদুর রহমান জনির যৌন নিপীড়নের ক্ষেত্রে দেখেছি। দেড় বছর পার হয়ে গেলেও জনিকে শাস্তি দেওয়া হয়নি। 

বহিরাগত নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে প্রক্টর, প্রভোস্ট না গিয়ে তারা দুজন ছাত্রলীগ নেতাকে পাঠিয়েছে অপরাধীদের ধরে আনার জন্য। এ থেকে বুঝা যায়, প্রক্টর, প্রভোস্ট তাদের পদে থাকার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অছাত্র ও অপরাধীদের আশ্রয়দাতা ও অভিভাবক হিসেবে আখ্যায়িত করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন। 

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যায়ন বিভাগের স্নাতকোত্তরের (৪৮ ব্যাচ) শিক্ষার্থী মো. হাসিব জামানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান ও এএসএম আনোয়ারুল্লাহ ভুঁইয়া,

 ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মো. গোলাম রব্বানী, ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার, দর্শন বিভাগের শিক্ষক মাহমুদা আকন্দ প্রমুখ।

মানববন্ধন শেষে বিকেল ৫ টার দিকে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের বিক্ষুব্ধ সদস্যরা দাবিগুলোর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের সাথে সাক্ষাৎ করেন।

এসময় উপাচার্য কিছুদিন সময় চাইলে নাকচ করে দেন বিক্ষুব্ধরা। তারা আজ বেলা দুইটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন এবং অনুষ্ঠিতব্য সিন্ডিকেট সভা হতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দেন। 

এদিকে বুধবার দুপুরে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তিসহ গত ৪ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করবে জাবি শিক্ষক সমিতি।

এখনো গ্রেফতার হয়নি ধর্ষণকাণ্ডের মূল হোতা

গত ৩ ফেব্রুয়ারি ধর্ষণের ঘটনায় এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে মূল অভিযুক্ত বহিরাগত মামুনুর রশীদ মামুন (৪৫) ও সহযোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ। জানা যায়, মামুনের বাড়ি নওগাঁ জেলার পত্নীতলা। তার পিতার নাম হাসির উদ্দিন। 

পলাতকদের গ্রেফতারের বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, পলাতক দুইজনের অনুসন্ধানে আমাদের টিম কাজ করছে। খোঁজ পাওয়া মাত্রই আপনাদেরকে জানানো হবে।' এ ঘটনায় ঢাকা জেলা র‍্যাব-৪ও কাজ করছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

টর্চার সেল ৩১৭ নম্বর কক্ষ সিলগালা 

বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের ৩১৭ নম্বর কক্ষে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ও শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয় সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান থাকতেন। ওই কক্ষ তার এবং হলটির ছাত্রলীগ নেতাদের বিভিন্ন অপকর্মের সাক্ষী। 

কক্ষটিতে নিয়মিত ইয়াবা, মদ সেবনের কাজে ব্যবহার করা হতো। এছাড়া, কক্ষটিতে বহিরাগত এবং শিক্ষার্থীদের ধরে নিয়ে গিয়ে চাঁদাবাজি ও মুক্তিপণের জন্য নির্যাতন করা হতো বলে জানা যায়। যে কারণে কক্ষটি শিক্ষার্থীদের কাছে 'টর্চার সেল' হিসেবে পরিচিত৷ সম্প্রতি ধর্ষণের ঘটনায় কক্ষটিকে সিলগালা করা হয়েছে বলে জানান মীর মশাররফ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আলম।


Share On:

0 Comments

No Comment Yet

Leave A Reply

Nagorik Alo is committed to publish an authentic, Informative, Investigate and fearless journalism with country’s people. A highly qualified and well knowledged young team of journalists always fetch real news of the incidents or contemporary events. Providing correct news to the country's people is one kinds of community service, Keeping this in mind, it always publish real news of events. Likewise, Nagorik Alo also promised to serve the Bangladeshi people who reside in out of the country.

সম্পাদক : মোঃ ইলিয়াস হোসেন ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : আরিফুর রহমান info@nagorikalo.com যোগাযোগ : 30/A, সাত্তার সেন্টার ( হোটেল ভিক্টরি) লেভেল 9, নয়া পল্টন, ঢাকা--১০০০ +8801753634332

© ২০২৩ nagorikalo.com