(ওসি) মাসুম খান লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলায় ৩ চরমপন্থীকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টার দিকে রামচন্দ্রপুর শ্মশান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, হত্যার বিষয়ে জাসদ গণবাহিনীর নেতা কালু দায় স্বীকার করে গণমাধ্যমকর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে একজন চরমপন্থী সংগঠন পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি জনযুদ্ধ লাল পতাকার আঞ্চলিক প্রধান হানিফ মণ্ডল ওরফে লিটনের (৫৫) পরিচয় পাওয়া গেছে । হানিফের বাড়ি হরিণাকুন্ডু উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের আহাদনগর গ্রামে। বাকি দুইজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তিনজনকেই মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হানিফ সম্প্রতি জেল থেকে বেরিয়েছেন। জেল থেকে বেরিয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। যে এলাকায় হত্যাকাণ্ডের কথা শোনা যাচ্ছে, সেটি শৈলকুপার মধ্যে এবং এলাকাটি নির্জন।
ওসি মাসুম খান জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল রাত পৌনে ১২টার দিকে দুইদল চরমপন্থী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ চরমপন্থীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ ও তাদের ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল ও অস্ত্র উদ্ধার করে।
এদিকে, চরমপন্থি নেতা কালুর পাঠানো মেসেজে বলা হয়, ‘সন্ধ্যায় রামচন্দ্রপুর খালের মধ্যে তিনজনকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছে।’ সড়কের ওপর দুটি মোটরসাইকেল পড়ে আছে বলেও জানিয়েছে তারা।
চরমপন্থীরা ঘোষণা করেছে, ‘এতদ্বারা ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, কুষ্টিয়া, যশোর ও খুলনাবাসীর উদ্দেশে জানানো যাইতেছে যে, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি নামধারী কুখ্যাত ডাকাত বাহিনীর শীর্ষ নেতা অসংখ্য খুন, গুম, দখলদারি, ডাকাতি, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হরিণাকুণ্ডু নিবাসী মো. হানিফ তার দুই সহযোগীসহ জাসদ গণবাহিনীর সদস্যদের হাতে নিহত হয়েছেন। অত্র অঞ্চলের হানিফের সহযোগীদের শুধরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো। অন্যথায় আপনাদের একই পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।’
Share On:
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply