খালেদা জিয়ার কিছু রোগ সারার মতো না বলে মন্তব্য করেছেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া চিকিৎসা পাচ্ছেন বলেই সুস্থ আছেন। তাঁর কিছু রোগ আছে, যেগুলো সারার মতো না। সেগুলোকে চিকিৎসার মাধ্যমে কমিয়ে রাখা হচ্ছে। তাঁর পেসমেকার লাগানোর পর অনেকটা সুস্থ আছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানকার চিকিৎসকেরা যখন মনে করেছিলেন বাইরের দেশ থেকে চিকিৎসক এনে পরামর্শ নেবেন, সেটা সরকারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে।’
এর আগে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হৃদ্যন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়েছে। তবে ২৪ ঘণ্টার আগে তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি চিকিৎসকেরা।
এ দিন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টা না গেলে এই মুহূর্তে তাঁর (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করলে তা বিব্রতকর হয়ে যেতে পারে।’
পেসমেকার বসানোর পর খালেদা জিয়াকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকেরা।
এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘তাঁর হার্টে তিনটি ব্লক ছিল। দুটি সারানো হয়েছে। আমি বারবার বলেছিলাম যেকোনো সময় অঘটন ঘটে যেতে পারে। তাঁর হৃদ্যন্ত্রের কার্যক্রম এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল, গত শুক্রবার রাতে সেই অঘটনটিই ঘটতে যাচ্ছিল। সেই অবস্থায় তাঁর চিকিৎসকেরা দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তর এবং চিকিৎসা শুরু করেন। আজ প্রথমে অস্থায়ী পেসমেকার এবং পরে স্থায়ী পেসমেকার লাগানো হয়। এই মুহূর্তে উনি চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে আছেন।’
এ সময় পার্শ্ববর্তী একটি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জরুরি সেবা নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার দিবাগত রাতে খালেদা জিয়া যখন অসুস্থ হয়েছিলেন, আমি পার্শ্ববর্তী একটি হাসপাতালে ফোন করেছিলাম আমাদের অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে একটু সাহায্য করতে। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, হাসপাতালের নাকি নিয়ম হচ্ছে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি হলেই রোগীকে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস দেবে। এটা অ্যাম্বুলেন্স বা জরুরি চিকিৎসার কোনো নিয়ম হতে পারে! অর্থাৎ রোগী যদি তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি হয়, তাহলেই জরুরি চিকিৎসা পাবে, অন্যথায় পাবে না। এটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক।’
Share On:
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply