নির্বাসিত এই সময়ে একেবারে মাঠ পর্যায় থেকে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা ও পরামর্শ দিয়ে যান জিয়া পরিবারের এই সন্তান। এ কারণে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে, সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগসহ সব মাধ্যমে তার বক্তব্য প্রচারে আসে নিষেধাজ্ঞা। এরপরেও থেমে থাকেননি তারেক রহমান। দেশ গড়ার অদম্য বাসনায় নানা উপায়ে কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে এগিয়ে যান তিনি।
২০১৮ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করা হলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান তারেক রহমান। এরপরে আরও জোরেশোরে বিএনপিকে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপিকে সামনে রেখে অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলের সমন্বয়ে যুগপৎ কর্মসূচি ও পরিকল্পনায় আওয়ামী লীগ সরকারকে একপর্যায়ে কোণঠাসা করতে বাধ্য করেন তারেক রহমান।
২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে দলীয় কর্মী ছাড়াও যুগপৎ শরিক এবং ছাত্র-জনতাসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষকে এক করে সরকার পতনের আন্দোলনে অন্যদের মতো নেতৃত্ব দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অবশেষে গণঅভ্যূত্থানে পতন হয় সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের। দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান দলটির সভানেত্রী ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনেকে তাকে সরকার পতনের মাস্টারমাইন্ড বলে আখ্যা দিলেও তিনি এই বিশেষণকে ছেড়ে দেন জনগণের ওপর। বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি গণতন্ত্রকামী মানুষ শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড।
এরপর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে সহযোগিতা ও পরামর্শও দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা ও অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সোচ্চার তারেক রহমানের দেশে ফেরা ছিল অনেকটা সময়ের ব্যাপার। তবে অভ্যুত্থানের পর সে অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হয় আরও প্রায় দেড় বছর। অবশেষে নির্বাসিত জীবন পেরিয়ে ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন বিএনপি ও তাদের সমর্থকসহ কোটি মানুষের মুক্তির আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান।
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply