| |
ভিডিও
ads for promotions
/
নির্বাসন ও সংগ্রামের দেড় যুগ, অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ফিরছেন তারেক রহমান

নির্বাসন ও সংগ্রামের দেড় যুগ, অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ফিরছেন তারেক রহমান

নিউজ ডেস্ক: নাগরিক আলো প্রতিবেদক

প্রকাশিত: 24 December, 2025

  • 1
দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন হয়ে আছে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের সাক্ষী হয়ে। দূর প্রবাসে থেকেও নেতৃত্ব দিয়েছেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে, যার সফল পরিণতি চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান। পাশাপাশি রাষ্ট্রকাঠামোর সংস্কার আর দেশ পরিচালনার রূপরেখাও তুলে ধরেছিলেন জনগণের সামনে। তারেক রহমানের সংগ্রামী ও নির্বাসিত জীবনের দেড় যুগের কথা থাকছে সময়ের পাঠকের জন্য

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছেন সন্তান। নির্যাতিত অসুস্থ সেই ছেলের পাশে অসহায় মা। ২০০৮ সালের তখনকার এ দৃশ্য কাঁদিয়েছে কোটি মানুষের হৃদয়কে। ২০২৪ সালে আবারও ১৬ বছর পর তাদেরই এমন আলিঙ্গন নাড়িয়েছিল পুরো দেশকে।


মাঝের সময়টা সুখকর ছিল না মা-ছেলে কিংবা পুরো বাংলাদেশের। দেড়যুগের অপশাসন যেন এক জগদ্দল পাথর চেপে ছিল সবুজ-শ্যামল এই বাংলার বুকে। অনেক মা এখনও জানেনই না তার সন্তান বেঁচে আছে না মারা গেছে।

বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিরোধী দল ও মত দমনে রাষ্ট্রযন্ত্রের নগ্ন ব্যবহার, সরকার প্রধানের রোষানলে আর মতের অমিল হলেই নেমে আসতো ভয়াবহ নির্যাতন।

আর সেই ফ্যাসিজমের নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার তারেক রহমানও ১৭ বছর ছিলেন নির্বাসনে। পিতৃহারা সন্তান এতগুলো বছরও কাটিয়েছেন মা ও পরিবার ছাড়া। শুধু স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পার করেছেন জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়।

দেড় যুগের এ সময়টাতে বাবার হাতে গড়া দল বিএনপির কাণ্ডারি হয়ে উঠেছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান। ওয়ান ইলেভেনের সেনাসমর্থিত সরকারের নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর মা বেগম জিয়ার অনুরোধে কাস্টোডি থেকে মুক্তি পেয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দেশ ছাড়েন তারেক রহমান। সে বছরের ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশে আসার পথ অনেকটা বন্ধ হয়ে যায় তার। একের পর এক মামলায় জর্জরিত তারেক রহমানের ফেরা হয়নি আর। এর মাঝেই ২০১৫ সালে হারাতে হয় ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোকে। শেষবারের মতো তাকেও আর দেখা হয়নি তারেক রহমানের।

নির্বাসিত এই সময়ে একেবারে মাঠ পর্যায় থেকে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা ও পরামর্শ দিয়ে যান জিয়া পরিবারের এই সন্তান। এ কারণে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে, সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগসহ সব মাধ্যমে তার বক্তব্য প্রচারে আসে নিষেধাজ্ঞা। এরপরেও থেমে থাকেননি তারেক রহমান। দেশ গড়ার অদম্য বাসনায় নানা উপায়ে কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে এগিয়ে যান তিনি।

২০১৮ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করা হলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান তারেক রহমান। এরপরে আরও জোরেশোরে বিএনপিকে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপিকে সামনে রেখে অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলের সমন্বয়ে যুগপৎ কর্মসূচি ও পরিকল্পনায় আওয়ামী লীগ সরকারকে একপর্যায়ে কোণঠাসা করতে বাধ্য করেন তারেক রহমান।
 
২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে দলীয় কর্মী ছাড়াও যুগপৎ শরিক এবং ছাত্র-জনতাসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষকে এক করে সরকার পতনের আন্দোলনে অন্যদের মতো নেতৃত্ব দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অবশেষে গণঅভ্যূত্থানে পতন হয় সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের। দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান দলটির সভানেত্রী ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনেকে তাকে সরকার পতনের মাস্টারমাইন্ড বলে আখ্যা দিলেও তিনি এই বিশেষণকে ছেড়ে দেন জনগণের ওপর। বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি গণতন্ত্রকামী মানুষ শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড।

এরপর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে সহযোগিতা ও পরামর্শও দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা ও অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সোচ্চার তারেক রহমানের দেশে ফেরা ছিল অনেকটা সময়ের ব্যাপার। তবে অভ্যুত্থানের পর সে অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হয় আরও প্রায় দেড় বছর। অবশেষে নির্বাসিত জীবন পেরিয়ে ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন বিএনপি ও তাদের সমর্থকসহ কোটি মানুষের মুক্তির আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান।

Share On:

0 Comments

No Comment Yet

Leave A Reply

Nagorik Alo is committed to publish an authentic, Informative, Investigate and fearless journalism with country’s people. A highly qualified and well knowledged young team of journalists always fetch real news of the incidents or contemporary events. Providing correct news to the country's people is one kinds of community service, Keeping this in mind, it always publish real news of events. Likewise, Nagorik Alo also promised to serve the Bangladeshi people who reside in out of the country.

সম্পাদক : মোঃ ইলিয়াস হোসেন ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : আরিফুর রহমান info@nagorikalo.com যোগাযোগ : 30/A, সাত্তার সেন্টার ( হোটেল ভিক্টরি) লেভেল 9, নয়া পল্টন, ঢাকা--১০০০ +8801753634332

© ২০২৩ nagorikalo.com