মাসে খাদ্যাভ্যাস, জীবন যাপন, পাশাপাশি খাবারের সময়—প্রতিটি বিষয়ে দেখা যায় পরিবর্তন। সেজন্য রমজানে খাদ্যাভ্যাস হতে হবে সুষম ও সুনিয়ন্ত্রিত। তাই রমজানে সেহরির খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদ ফাতেমা আহমেদ।রমজান মাসে বিভিন্ন অস্বাস্থ্যকর খাবার ও অতিরিক্ত তেল-চর্বিজাতীয় খাবার গ্রহণ করার ফলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম—যদি আপনার বিভিন্ন রোগ থাকে, তাহলে রোগের পরিমাণ বা রোগ তুলনামূলকভাবে বেড়ে যেতে পারে, যদি আপনি অনিয়ন্ত্রিত বা অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করেন।
সাহরীর খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে পুষ্টিবিদ ফাতেমা আহমেদের পরামর্শ
১. সাহরীতে অবশ্যই আপনাকে সুষম খাদ্য তালিকা মেনে চলতে হবে। কেননা দীর্ঘ সময় আপনাকে রোজা রাখার ক্ষেত্রে যে শক্তি প্রদান করবে, সেটি হচ্ছে সাহরীর খাবার। সেজন্য সাহরীতে আপনি যে খাবারগুলো গ্রহণ করবেন, সেখানে যেন জটিল শর্করা থাকে, সে বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
২. লাল চাল বা লাল আটার তৈরি বিভিন্ন ধরনের খাবার রাখতে পারেন। আপনি চাইলে ভাত ও রুটি খেতে পারেন। এ ছাড়া চাল দিয়ে তৈরি অন্য যেকোনো খাবার খেতে পারেন।
৩. সাহরীতে ভাতের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে। কেননা শাকসবজি থেকে ফাইবার পাওয়া যায়। শাকসবজির পাশাপাশি অবশ্যই মাছ, মাংস, ডাল ও ডিমের মধ্যে একটি প্রোটিন জাতীয় খাবার রাখতে হবে।
৪. সাহরীর শেষ সময়ে খাবার গ্রহণ করা উচিত। কেননা বেশি আগে খাবার গ্রহণ করলে দ্রুত ক্ষুধা লেগে যেতে পারে।
৫. সাহরীতে আপনি চাইলে এক গ্লাস দুধ রাখতে পারেন। অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। যেহেতু গরমের সময় রোজা তাই শরীর অল্পতেই ডিহাইড্রেট হয়ে যেতে পারে। এ জন্য সাহরীতে পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করতে হবে।
রমজানের পুরো মাস এই ছোট ছোট নিয়মগুলো মেনে চললে খুব সহজ ও জটিলতা মুক্ত থেকে রমজানের রোজা রাখা সম্ভব।
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply