রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস মাহে রমজান। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শুরু হবে মর্যাদাপূর্ণ এই মাস। রমজানের আগমনের আগে মুমিনের বিশেষ কিছু করণীয় রয়েছে। মুমিনগণ পাপমুক্ত যে জীবনের অনুশীলন রমজানে করেছিল, তা রমজানের পরেও অব্যাহত থাকবে এবং আল্লাহমুখী, ইবাদতমুখর যে সময় সে কাটিয়েছিল, তাতে কোনো ছেদ আসবে না। কেননা, পবিত্র কোরআনের নির্দেশ হলো, ‘তুমি তোমার প্রতিপালকের ইবাদত করো মৃত্যু আসার আগ পর্যন্ত।
পবিত্র রমজান মাস রাসুল (সা.)-এর কাছে এতটাই প্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে, তিনি এই মাস পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে খুব বেশি প্রার্থনা করতেন। একবার আল্লাহর রাসুল (সা.) তাঁর সাহাবায়ে কেরামকে পরপর তিনবার প্রশ্ন করলেন– ‘কোন জিনিস তোমাদের স্বাগত জানাবে এবং তোমরা কোন জিনিসকে স্বাগত জানাতে যাচ্ছ?’
এর উত্তরে হজরত ওমর (রা.) বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, কোনও ওহি অবতীর্ণ হবে?’ রাসুল (সা.) উত্তর দিলেন, ‘না’। ওমর বললেন, ‘কোনও শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ হতে যাচ্ছে?’ রাসুল (সা.) এবারও উত্তর দিলেন, ‘না’। তখন ওমর (রা.) বললেন, ‘তাহলে কী?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ-তায়ালা রমজানের প্রথম রাতে কিবলাবাসী সকলকে ক্ষমা করে দেবেন।’ (আত-তারগিব ওয়াত তারহিব, হাদিস : ১৫০২)
রমজানের ঠিক আগে আগেই রাসুল (সা.) রমজানের ফজিলত এবং বরকত সম্পর্কে সাহাবিদের জানিয়ে দিতেন। এ সম্পর্কে অনেকগুলো হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রমজান বরকতময় মাস। এ মাসে শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়। আকাশের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ মাসে এমন একটি মহিমান্বিত রাত রয়েছে যা হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।’ (মুসলিম)।
বিভিন্ন হাদিস থেকে জানা যায় রাসুল (সা.) চাঁদ দেখে রোজা শুরু করতেন। হাদিসের বর্ণনা থেকে পাওয়া যায়, কেউ এসে তাকে চাঁদের সংবাদ দিলে তিনি তা ঘোষণা করার অনুমতি দিতেন।
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখ এবং চাঁদ দেখেই রোজা ছাড়। (বুখারি।
Share On:
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply