বৃহষ্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে চেক ডিসঅনারের দুটি মামলায় টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও টাঙ্গাইল সদর থানা আমলী আদালতের বিচারক মো: মাহমুদুল মোহসীন আদম তমিজি হকসহ পাঁচজন আসামির বিরুদ্ধে এই গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, আদম তমিজি হকের স্ত্রী হক ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুসরাত আক্তার হক, তার আরেক স্ত্রী হক ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক লিজা আক্তার হক, হক ফুডের জিএম (ফিন্যান্স এন্ড একাউন্টস) মো: রেজাউল করিম ও সিনিয়র জিএম (বিডি এন্ড লজিস্টিকস) মুশফাকুর রহমান।
বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম এ মালেক আদনান জানান, ঢাকার মাহবুব গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান কে.বি.সি এগ্রো প্রোডাক্টস (প্রা:) লিমিটেডের সাথে হক ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবসা ছিল। ব্যবসায়িক লেনদেনে হক ফুড ১৯ লাখ ৪৫ হাজার তিনশত টাকা বকেয়া করেন। আসামিরা এই বকেয়া টাকা পরিশোধের জন্য কে.বি.সি কোম্পানীকে দু’টি চেক প্রদান করেন। কিন্তু চেক দু’টি ‘এডভাইস নট রিসিভ্ড’ মন্তব্যে ব্যাংক কর্তৃক ডিসঅনার হয়। পরে কে.বি.সি কোম্পানীর পক্ষে ইমরান হোসেন (ম্যানেজার রিকোভারী) বাদি হয়ে ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর হক ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজি হকসহ পাঁচজনকে আসামি করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টাঙ্গাইল সদর থানা আমলী আদালতে মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, বিচারক মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমনের আদেশ দেন। বৃহষ্পতিবার (২৩ মে) ছিল মামলার ধার্য তারিখ। কিন্তু আসামিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন এবং আগামী ২১ আগস্ট মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply