জব্দ করা পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট দেখাশোনার জন্য একজন প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের পরিচালক (সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ইউনিট) মঞ্জুর মোর্শেদের আবেদন আমলে নিয়ে আজ রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আশ-শামস জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আদালতের আদেশের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আবেদনে মঞ্জুর মোরশেদ আদালতকে বলেন, আদালত গত ৬ জুন বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের কিছু স্থাবর সম্পত্তি দেখাশোনার জন্য প্রশাসক নিয়োগ করেছেন। এরপর মঞ্জুর মোর্শেদ কয়েকজন কর্মকর্তাকে নিয়ে গুলশানের ফ্ল্যাট পরিদর্শনে গিয়ে ভবনের রিসিপশনিস্ট মেহেরাব হোসেনের সঙ্গে কথা বলেন।
রিসেপশনিস্ট তাদের জানান, ফ্ল্যাটের মালিক সেখানে থাকেন না এবং তার অবস্থানও জানেন না। তাছাড়া ওই ভবনের ব্যবস্থাপক মো. জসিমকেও সেখানে পাওয়া যায়নি। ফ্ল্যাটের মালিক চাবি নিয়ে চলে গেছেন।
দুদক আরও জানতে পেরেছে, ফ্ল্যাটের ইউটিলিটি বিলের একটা বিষয় আছে, বিশেষ করে সার্ভিস চার্জ, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির বিল প্রতি মাসে পরিশোধ করার কথা। তাই এসব বিল মূল্যায়নের জন্য ফ্ল্যাট খোলা প্রয়োজন।
আবেদনে বলা হয়, ফ্ল্যাট মালিকের অনুপস্থিতিতে ফ্ল্যাটে প্রবেশের জন্য একজন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা প্রয়োজন।
এর আগে, গত ২৭ জুন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বাজেয়াপ্ত স্থাবর সম্পত্তি দেখাশোনার জন্য একই আদালত আরও কয়েকজন প্রশাসক নিয়োগ করেন।
ঢাকা ও রূপগঞ্জের সম্পত্তি দেখভাল করবেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ইউনিটের পরিচালক। বান্দরবানের জেলা প্রশাসক জেলায় থাকা সম্পত্তি দেখভাল করবেন।
স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে আছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ২৪ কাঠা জমি, ঢাকার গুলশান এলাকায় তিন কাঠা জমি, বাড্ডায় ৩০৭৫ বর্গফুট আয়তনের দুটি ফ্ল্যাট, আদাবরে ছয়টি ফ্ল্যাট এবং বান্দরবানে ২৫ একর জমি।
Share On:
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply