অর্থনৈতিক উন্নতি, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, দেশটিতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গম আমদানি বাড়বে।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের (এফএএস) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এফএএস বলছে, ২০২২-২৩ মৌসুমে দেশটি মোট ৯৪ লাখ ৪৬ হাজার টন গম আমদানি করেছিল।
২০২৩-২৪ মৌসুমে ইন্দোনেশিয়ায় খাদ্যশস্যটির আমদানির পরিমাণ দাঁড়াবে পারে ১ কোটি ৫ লাখ টনে।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ভাব ও অভ্যন্তরীণ বাজারে ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় ২০২২-২৩ বিপণন বছরে গম আমদানি চাহিদার তুলনায় কম ছিল বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
২০২২-২৩ মৌসুমে খাদ্য ব্যবহার ৩ দশমিক ৪ শতাংশ কমার কথা জানিয়েছে এফএএস, যা ৮৫ টন গমের সমপরিমাণ।
২০২৪ সালের নির্বাচনের সময় থেকে গমের আটা থেকে প্রস্তুতকৃত খাদ্যপণ্যের চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা দেখছে মার্কিন সংস্থাটি।
সর্বশেষ পূর্বাভাস প্রতিবেদনে এফএএস জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ সালে গমের ব্যবহার ৮৬ লাখ টনে উঠতে পারে।
ইন্দোনেশিয়ায় পশুখাদ্য হিসেবেও গম ব্যবহার করা হয়।
ফিড মিলস অ্যাসোসিয়েশনের পূর্বাভাসমতে, ২০২৩ সালে উৎপাদিত ২ কোটি ১৩ লাখ টন থেকে ফিড উৎপাদন ২০২৪ সালে ৫ শতাংশ বেড়ে ২ কোটি ২৪ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে।
মিলগুলোয় ফিড তৈরির প্রধান উপকরণ হিসেবে গম ব্যবহার করার কারণে দ্বীপ দেশটিতে খাদ্যশস্যটির চাহিদা বাড়বে। তাই ২০২৩ সালের ১১ লাখ টনের তুলনায় ২০২৪ সালে ফিড তৈরিতে গমের ব্যবহার ১২ লাখ টনে বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে ফিড মিলস অ্যাসোসিয়েশন।
Share On:
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply