ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলার অন্যতম সন্দেহভাজন ব্যক্তি সিয়াম হোসেনকে ভারতের আদালতে তোলা হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুর স্থানীয় সময় দেড়টা নাগাদ পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাত জেলা ও দায়রা আদালতে তোলা হয় সিয়ামকে।
শুক্রবারই বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ এলাকা থেকে সিয়ামকে গ্রেফতার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি।
পরে রাতে তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিআইডি। তদন্তকারী সংস্থার তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয় সিয়ামের বাড়ি বাংলাদেশের ভোলা জেলার বুরহাদ উদ্দিন গ্রামে। তার বাবার নাম আলাউদ্দিন বালি। ৩৩ বছর বয়সী সিয়াম জঘন্য ওই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে বনগাঁ এলাকায় আত্মগোপন করেছিল বলে জানা যায়।
সিয়ামকে নিয়ে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে এখনো পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেফতার করলো সিআইডি।
এর আগে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জিহাদ হাওলাদার নামে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে সিআইডি। গত ২৩ মে এই জিহাদকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই সিয়ামের জড়িত থাকার বিষয়টি জানতে পারে তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে সঞ্জীবা গার্ডেনে এমপি আনারকে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। মনে করা হচ্ছে তাকে খুন ও লাশ লোপাটের কাজে যুক্ত ছিলেন এই সিয়াম। নিউটাউনের অভিজাত ওই সঞ্জীভা গার্ডেনের যে সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসে তাতেও সিয়ামকে দেখা যায়।
এই ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশের হাতে গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও এই সিয়ামের বিষয়টি সামনে আসে। এবার নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই সিয়ামকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তে আরো গতি আনতে চান সিআইডির কর্মকর্তারা।
এদিকে এই মামলার অন্যতম আসামি হাদ হাওলাদারকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার জিহাদকে বারাসত জেলা ও দায়রা আদালতে তোলা হলে আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভঙ্কর বিশ্বাস এই নির্দেশ দেন। সেক্ষেত্রে আগামী ২১ জুন ফের তাকে আদালতে তোলা হবে। এই মুহূর্তে দমদমের কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আছেন জিহাদ। তবে প্রয়োজনে আদালতের অনুমতি নিয়ে সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তারা কারাগারে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন।
Share On:
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply