তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দ্রুত এগোচ্ছে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির বিকাশ অঞ্চলটিতে জেনারেটিভ এআই নির্ভরশীলতা বাড়াচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৭ সাল নাগাদ জেনএআই গ্রহণ, সফটওয়্যার ব্যবহার, পরিষেবা ও হার্ডওয়্যারের উন্নয়ন বাবদ ব্যয় ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইডিসির প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাতে স্টোরিবোর্ড এইটিনের খবরে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনের শিরোনাম ওয়ার্ল্ডওয়াইড এআই অ্যান্ড জেনারেটিভ এআই স্পেন্ডিং গাইড। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়টি এআইয়ের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের দ্বিতীয় ধাপ পরিচালনায় গৃহীত পদক্ষেপের প্রতিফলন।
জেনারেটিভ এআই মূলত কম্পিউটার বিজ্ঞানের বেশকিছু বিষয়ের সংমিশ্রণ। এখানে দুই ধরনের অ্যালগরিদম ব্যবহার করে কম্পিউটার বা মেশিনকে কমান্ড দেয়া হয়। এখানে আগে তৈরি হওয়া বিভিন্ন কনটেন্টে থাকা লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও ও কোড ব্যবহার করে নতুন কনটেন্ট তৈরি করা হয়।\
আইডিসির ভাষ্যমতে, জেনএআই প্রযুক্তিগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক যেসব কোম্পানি বা পার্টি সরাসরি উৎপাদন এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত।
আইডিসি এপিজের বিগ ডাটা অ্যান্ড এআইয়ে গবেষণা বিভাগের প্রধান দিপীকা গিরি বলেন, ‘আমাদের অনুমান এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে জেনারেটিভ এআই গ্রহণের হার বাড়বে, যা উত্তর আমেরিকার সমানুপাতিক হবে। কেননা বড় কোম্পানিগুলো জেনএআই অ্যাপলিকেশনের জন্য ডাটা ও অবকাঠামো নির্মাণে বড় পরিসরে বিনিয়োগ করছে।’
তিনি আরো জানান, আগামী দুই বছরের মধ্যে জেনএআই খাতে বিনিয়োগের দিক থেকে সবার উপরে থাকবে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল। অন্যদিকে জেনএআই গ্রহণ বা ব্যবহারের দিক থেকে চীন শীর্ষে থাকবে এবং সামনের বছরগুলোয় দ্রুত বর্ধনশীল বাজারের তালিকায় এগিয়ে থাকবে জাপান ও ভারত। জেনএআই ব্যবহারের দিক থেকে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বেশকিছু খাত বড় ধরনের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাবে বলেও আইডিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন ও ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ প্রযুক্তি খাত অনেকটাই এগিয়ে যাবে।
প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, এশিয়ার ফাইন্যান্সিয়াল পরিষেবা খাতে জেনারেটিভ এআইয়ের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। ২০২৭ সাল নাগাদ এ খাতের বাজার ৪৩০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এ খাতের অভ্যন্তরে অপারেশনাল দক্ষতার উন্নয়ন, একই কাজের কমান্ড বারবার দেয়ার পরিবর্তে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু, জালিয়াতি শনাক্তকরণ এবং জটিল নথি তৈরিতে জেনএআই ব্যবহার করা হচ্ছে।
জেনএআই ব্যবহারের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সফটওয়্যার ও তথ্য পরিষেবা খাত। মার্কেটিং বা প্রচারণা থেকে শুরু করে, তথ্য পর্যালোচনা ও সফটওয়্যারের উন্নয়নে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এশিয়া-প্যাসিফিকের খুচরা বাজার ক্রমে বাড়ছে। প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে বিক্রেতারাও জেনএআই প্রযুক্তিতে ঝুঁকছে।
Share On:
8 Comments
NprJQoBt
February 04, 2025 at 8:35pmNprJQoBt
February 04, 2025 at 8:35pmfVscmFPATpO
March 05, 2025 at 4:08pmfVscmFPATpO
March 05, 2025 at 4:08pmvIUIYBDGRMePoy
April 28, 2025 at 8:04pmvIUIYBDGRMePoy
April 28, 2025 at 8:04pmgkwMsyRtDpXDV
April 29, 2025 at 12:17pmgkwMsyRtDpXDV
April 29, 2025 at 12:17pmLeave A Reply