সংসদ অভিমুখে গণঅধিকার পরিষদের (নূর-রাশেদ অংশ) কালো পতাকা মিছিলে মৃদু লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ ৷ এতে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুনসহ অন্তত দশ নেতা আহত হয়েছেন।
পল্টনে আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখছেন আমার ঠোঁট ফেটে গেছে ৷ পুলিশের সঙ্গে অনেকক্ষণ ধস্তাধস্তি হয়েছে ৷ আমি ঠিকভাবে কথা বলতে পারছি না।
আমি বলতে চাই, আমাদের এই মিছিল কি পুলিশের বিরুদ্ধে ছিল? তাহলে তারা কেন আমাদের ওপর হামলা করল, লাঠিচার্জ করল।
আজকের এই প্রোগ্রামে কি লাঠিচার্জের নির্দেশনা ছিল? পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে লাঠিচার্জ করায় আমাদের নারী নেত্রী ফাতিমা তাসনিমসহ আরও অনেকেই আহত হয়েছেন।’
লাঠিচার্জের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, ‘আজকের প্রোগ্রামের জন্য কোনো দলেরই অনুমতি ছিল না।
সেই হিসেবে আমরা কাউকেই প্রোগ্রাম করতে দিইনি৷ অন্যরা আমাদের নিষেধ শুনেছে কিন্তু ওরা (গণঅধিকার পরিষদ) শোনে নাই ৷ তখন এ রকম হতে পারে।’
নূরুল হক বলেন, ‘জনগণের কোটি কোটি টাকা খরচ করে সংসদ পরিচালনা করতে হয়৷ আজ দেশে একটি ডামি নির্বাচনের পর প্রথম সংসদ অধিবেশনে বসেছে ৷
আমরা এটার বিরোধিতা করে মিছিল নিয়ে বের হয়েছি, সেখানে পুলিশ ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়েছে।
আমাদের এই কালো পতাকা মিছিলকে কাউয়া কাদের (আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের) বলেছে এটা শোকের মিছিল, কান্নার মিছিল।
দেশে কোনো ভোট হয়নি, ভোট হলে এই কাউয়া কাদের রাস্তায় কা কা করে বেড়াতেন। একটা ভোটও পেতেন না।’
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামানসহ আরও অনেকে।
Share On:
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply