দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। দুই মেয়াদ পূর্ণ করার পর প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর স্থলাভিষিক্ত কে হবেন তা নির্বাচন করবেন আজ ইন্দোনেশিয়ার মানুষ। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১৭ হাজার দ্বীপজুড়ে ২ লাখ ৫৯ হাজার প্রার্থী লড়ছেন ২০ হাজার ৬০০ পোস্টে। তবে সবার দৃষ্টি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকেই। ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশে জোকো উইদোদোর উচ্চাভিলাষী কর্মসূচির ভাগ্যে কী আছে সেটাও দেখার বিষয়।
১৫ বছরে এই প্রথম ভোটাররা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য তিনজন প্রার্থী পেয়েছেন। বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রাবোয়ো সুবিয়ান্তো, জাকার্তার সাবেক গভর্নর আনিয়েস বাসওয়েদান ও সেন্ট্রাল জাভার সাবেক গভর্নর গাঞ্জার প্রানোয়ো—এই তিনজনের মধ্যে একজন হতে যাচ্ছেন জোকো উইদোদো বা জোকোউইর উত্তরসূরি।
গত সপ্তাহের দুটি সমীক্ষায় দেখা যায়, ভোটের মাঠে এগিয়ে আছেন প্রাবোয়ো। ৫১.৮ ও ৫১.৯ শতাংশ সমর্থন নিয়ে তিনি এগিয়ে আছেন। অন্যদিকে, আনিয়েস ও গাঞ্জার পেয়েছেন যথাক্রমে ২৭ ও ৩১ পয়েন্ট। সরাসরি জয়ী হওয়ার জন্য একজন প্রার্থীর ৫০ শতাংশের বেশি ভোট এবং দেশের অর্ধেক প্রদেশে অন্তত ২০ শতাংশ ভোট পেতে হবে।
জোকোউইর কাছে পরপর দুই নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রাবোয়ো। এর আগের দুই মেয়াদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তাঁকে সমর্থন দিচ্ছেন জোকোউই।
অনেক ইন্দোনেশীয়ই প্রাবোয়োর মাঝে তিন দশকের একনায়ক সুহার্তোকে খুঁজে পান। সুহার্তোর এক মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন প্রাবোয়ো। এ ছাড়া সুহার্তোর সেনাবাহিনীতেও জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ওই সেনাবাহিনী ছিল মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য কুখ্যাত।
অন্যদিকে, যেসব ভোটার এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি, তাঁদের ভোট পাওয়ার দিকেই প্রত্যাশা থাকবে আনিয়েস ও গাঞ্জারের। জোকোউইর নীতির সিংহভাগই অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন গাঞ্জার। বিশ্লেষকদের মতে, গাঞ্জার তাঁর বার্তা স্পষ্টভাবে দিতে পারছেন না। আনিয়েসকে এই প্রতিযোগিতায় কিছুটা পিছিয়েই রাখছেন বিশ্লেষকেরা।
আজ ভোট দেওয়ার পর পোলিং এজেন্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রাবোয়ো বলেন, ভোটের প্রক্রিয়া ভালোভাবেই চলছে। একইভাবে ভোট দিয়ে জাকার্তার সাবেক গভর্নর আনিয়েস এবং সেন্ট্রাল জাভার সাবেক গভর্নর গাঞ্জার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের আশা প্রকাশ করেছেন।
রাজধানী জাকার্তায় বজ্রসহ বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ায় কিছুটা দেরিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। জাকার্তার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা একটি প্লাবিত ভোটকেন্দ্রের ছবি সামাজিক প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেছে। সেখানকার নির্বাচন কর্মকর্তারা ভোটের উপকরণগুলো নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছেন।
Share On:
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply