রোহিঙ্গাদের কারণে সংকটে থাকা কক্সবাজারের ২ লাখ বাসিন্দাকে বাদ দিয়েই ঘোষণা হতে যাচ্ছে, জাতিসংঘের জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান-জেআরপি। কক্সবাজার ও ভাসানচরে সাড়ে ১৫ লাখের চাহিদার বিপরীতে থাকছেন সাড়ে ১৩ লাখ মানুষ। তাদের জন্য বিশ্ববাসীর কাছে চাওয়া হবে, ৮৫ কোটি ২৪ লাখ ডলার।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সার্বিক চাহিদা মেটাতে নিয়মিত খরচের জোগান দিয়ে আসছে, জাতিসংঘ। যেই তালিকায় আছেন স্থানীয়রাও। তবে ধীরে ধীরে কমছে তহবিলের অর্থ।
এতে চলতি বছর প্রথমবারের মতো সহায়তা বঞ্চিত হতে পারেন স্থানীয় ২ লাখ বাংলাদেশি। জাতিসংঘের জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান-জেআরপি খসড়ায় বরাদ্দের জন্য স্থানীয় ৫ লাখ ৪৪ হাজারের বদলে রাখা হয়েছে ৩ লাখ ৪৬ হাজার জনকে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য বার্ষিক খরচ ধরা হয়েছে, ৮৫ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছর এটি ছিল ৮৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার। বরাবরের মত এবারও খাদ্য নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ ২৩২ মিলিয়ন ডলার, আশ্রয়ে ১৫৭, স্বাস্থ্যে ৮৬ দশমিক ৬, নিরাপত্তায় ৮০ দশমিক ৫, পানি ও স্যানিটেশনে ৭০, শিক্ষায় ৬৮ দশমিক ৫ ও পুষ্টির জন্য বরাদ্দ রয়েছে, ৪৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার। অন্যান্য খাতে ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলার।
জাতিসংঘ বলছে, বৈশ্বিকভাবেই অনেক স্থানে মানবিক সংকট চলছে। তাই তহবিলের ঘাটতি রয়েছে।
Share On:
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply