| |
ভিডিও
ads for promotions
/
মতিউরের অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক, মাঠে নেমেছে অনুসন্ধান দল

মতিউরের অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক, মাঠে নেমেছে অনুসন্ধান দল

নিউজ ডেস্ক: নাগরিক আলো

প্রকাশিত: 23 June, 2024

  • 67
ছাগল-কাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (শুল্ক ও আবগারি) ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট ড. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার দুপুরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন এ তথ্য জানান।

মতিউরের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এই অনুসন্ধান দলের অপর দুই সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক মাহমুদ হাসান ও উপসহকারী পরিচালক সাবিকুন্নাহার।

সংবাদ সম্মেলন দুদক সচিব বলেন, এনবিআরের সদস্য ড. মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে ৪ জুন কমিশন একটি অনুসন্ধান টিমের মাধ্যমে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ইতিমধ্যে একজন উপপরিচালককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। টিমের সদস্যরা তাঁদের কাজও শুরু করেছেন।

দুদক সূত্রে জানা যায়, দুদকের ৪ জুনের সভায় সংস্থার মহাপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. মোকাম্মেল হক অভিযোগ উপস্থাপন করেন। এতে বলা হয়, মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁর বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিপূর্বে চারবার অনুসন্ধান করা হয়। 

এনবিআরের এই কর্মকর্তার সন্তান পরিচয়ে মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে এক তরুণের ঈদুল আজহার সময় ১২ লাখ টাকায় ছাগল, ৫২ লাখ টাকায় গরু কেনা ও গাড়িবিলাসের কথিত ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে মতিউর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, এই ইফাত তাঁর সন্তান নন। এমনকি তিনি এই তরুণকে চেনেনও না। তবে পরে জানা যায়, ইফাত মতিউরের দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিভলীর দ্বিতীয় সন্তান।

দুদকের অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের বিষয়ে কথা বলার জন্য আজকের পত্রিকা থেকে ফোন করা হলেও মতিউর রহমান ফোন ধরেননি। ফোনে মেসেজ পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৪, ২০০৮, ২০১৩ ও ২০২১ সালে—এই চারটি অনুসন্ধান সম্পন্ন হয়। তবে এই চার দফা অনুসন্ধানের পর কমিশন থেমে যায়।

দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, কমিশন ৪ জুনের সভায় এই রাজস্ব কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে এবার প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। একই সভায় তাঁর বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য একটি টিম গঠন করতে বলা হয়।

সভার গৃহীত সিদ্ধান্তে বলা হয়, একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে ২০০৪, ২০০৮, ২০১৩ ও ২০২১ সালে পরিসমাপ্তকৃত চারটি অনুসন্ধান প্রতিবেদন ও তৎসংশ্লিষ্ট নথি খুঁজে বের করতে হবে। নথি খুঁজে না পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

দুদকের তথ্য অনুযায়ী মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে বসুন্ধরা ডি–ব্লকে একটি সাততলা বাড়ি, আই–ব্লকে তাঁর যৌথ মালিকানাধীন ডেভেলপার কোম্পানির জেসিক্সের তত্ত্বাবধানে একটি বহুতল ভবনে তার অংশ আছে। 

এ ছাড়া মতিউর রহমানের মালিকানায় ময়মনসিংহের ভালুকার সিডস্টোর এলাকার পাশেই প্রায় ৩০০ বিঘা জমির ওপর গ্লোবাল নামে জুতার একটি কারখানার, নরসিংদীদে একটি রিসোর্ট, পুবাইলে শুটিং স্পটসহ বিপুল সম্পদ থাকার তথ্য পাওয়া যায়। রাজস্ব বিভাগের এই কর্মকর্তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের নামেও নামে–বেনামে সম্পদ থাকার তথ্য রয়েছে দুদকের কাছে।


Share On:

0 Comments

No Comment Yet

Leave A Reply

Nagorik Alo is committed to publish an authentic, Informative, Investigate and fearless journalism with country’s people. A highly qualified and well knowledged young team of journalists always fetch real news of the incidents or contemporary events. Providing correct news to the country's people is one kinds of community service, Keeping this in mind, it always publish real news of events. Likewise, Nagorik Alo also promised to serve the Bangladeshi people who reside in out of the country.

সম্পাদক : মোঃ ইলিয়াস হোসেন ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : আরিফুর রহমান info@nagorikalo.com যোগাযোগ : 30/A, সাত্তার সেন্টার ( হোটেল ভিক্টরি) লেভেল 9, নয়া পল্টন, ঢাকা--১০০০ +8801753634332

© ২০২৩ nagorikalo.com