অন্যদিকে ডিআর কঙ্গো ফুটবল ফেডারেশন (ফেকোফা) অভিযোগটি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। লেপার্ডসের অফিসিয়াল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আইনের ফাঁক খুঁজে জেতার চেষ্টা করছে নাইজেরিয়া। বিশ্বকাপ খেলতে হয় মর্যাদা ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে, আইনজীবীদের কৌশলে নয়।’
ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, কোনো খেলোয়াড় একবারই জাতীয় দল পরিবর্তনের আবেদন করতে পারেন এবং সেটি লিখিতভাবে ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষ।
ফিফা একটি দেশের হয়ে খেলতে সংশ্লিষ্ট দেশের পাসপোর্ট থাকার শর্ত দিলেও, একাধিক পাসপোর্ট রাখার বিষয়ে বাধা নেই। তবে কঙ্গোর জাতীয় আইনে দ্বৈত নাগরিকত্ব অনুমোদিত নয়, এটিকেই মূল যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছে নাইজেরিয়া।
এদিকে, ফিফার কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পৌঁছালে কয়েকটি সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত আসতে পারে। প্রথমত, প্রমাণ অপর্যাপ্ত মনে হলে অভিযোগ খারিজ করে ডিআর কঙ্গোর যোগ্যতা বহাল রাখা হতে পারে। দ্বিতীয়ত, তদন্ত করে প্রক্রিয়াগত ত্রুটি পেলে ফেডারেশনকে জরিমানা বা সতর্কবার্তা দেয়া হতে পারে, যদিও ম্যাচের ফল অপরিবর্তিত থাকবে। সবচেয়ে গুরুতর ক্ষেত্রে খেলাধুলাভিত্তিক শাস্তি—ম্যাচ বাতিল, প্রতিপক্ষকে জয় দেয়া বা পয়েন্ট কর্তনের মতো সিদ্ধান্তও আসতে পারে।
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply