জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফাতেমা দোজার অপরাধ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি তদন্ত কমিটির কাছে সরকারি চাকরি ছেড়ে তথ্য গোপন করে আবার যোগ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠন করা তদন্ত কমিটির কাছে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে তিনি এ তথ্য স্বীকার করেন। কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৬ নভেম্বর ডা. ফাতেমার বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা করা হয়। মামলার পরবর্তী ধাপ হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত ১০ মার্চ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মঞ্জুরুল হাফিজকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে।
এ বিষয়ে যুগ্ম সচিব মো. মঞ্জুরুল হাফিজ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এর আগে ২২ নভেম্বর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সই করা এক পত্রে ডা. ফাতেমার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরে তাঁকে কেন বরখাস্ত করা হবে না, তা জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
ডা. ফাতেমার নানা অনিয়মের বিষয়ে আজকের পত্রিকায় ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল ‘এক চিকিৎসকের এত জালিয়াতি’ শিরোনামে। এরপরই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য প্রশাসন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানার নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি করা হয়।
এদিকে ডা. ফাতেমার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব যেসব অভিযোগ তুলে ধরেছেন, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—১. জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় ২০১২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগ লাভ। ২. চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে পরে আবার সহকারী অধ্যাপক হিসেবে হৃদরোগ হাসপাতালে যোগদান; চাকরিতে অনুপস্থিতকালের ছুটি মঞ্জুর না করানো। ৩. স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে দুটি কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব না দেওয়া। ৪. কর্মরত অবস্থায় ফৌজদারি মামলায় হাজতবাস করলেও সে তথ্য লুকিয়ে ওই সময়ের জন্য অর্জিত ছুটির আবেদন করা।
এসব বিষয়ে জানতে ডা. ফাতেমা দোজাকে ফোন করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
Share On:
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply