অর্থবছরের শেষ সময়ে এসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়নে গতি পেয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে ৪২ দশমিক ৩০ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। শুধু মার্চ মাসে এসেই বাস্তবায়ন হার ৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট ঘোষণা করে সরকার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এডিপির বাস্তবায়ন হার ছিল ৪১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। তবে জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে এডিপি বাস্তবায়নের হার আগের ১৪ বছরের তুলনায় কম ছিল। পরিকল্পনা কমিশনের আইএমইডির কর্মকর্তারা জানান, গত মার্চের এডিপি বাস্তবায়নে গতি পাওয়ায় পুরো বাস্তবায়নের হারই বেড়েছে। আইএমইডি মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোকে প্রকল্প বাস্তবায়ন বাড়ানোর ব্যাপারে নজরদারি করছে। তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে বাস্তবায়নে।
চলতি অর্থবছরে ১ হাজার ৪০০ প্রকল্প রয়েছে। এর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা। তবে বাস্তবায়ন অদক্ষতার কারণে গত মাসে কাটছাঁট করা হয় এডিপির আকার। মূল এডিপিকে কমিয়ে ২ লাখ ৫৪ হাজার কোটিতে নামানো হয়। তথ্য-উপাত্ত বলছে, এ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে এসে বাস্তবায়নে গতি পেলেও তা গত অর্থবছরের বাস্তবায়ন হারের তুলনায় কম।
অর্থবছরের ৯ মাস পেরোলেও কিছু মন্ত্রণালয়ের পারফরম্যান্স বেশ খারাপ। বরাদ্দের ২০ শতাংশের কম খরচ করতে পেরেছে, এ রকম মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংখ্যা ১১। এগুলো হলো নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
জানা যায়, অর্থবছরের শেষের সময়ে এসে তাড়াহুড়া করে প্রকল্প শেষ করার প্রবণতা থাকে। তখন কাজের মান ভালো হয় না। দায়সারা কাজ করে ঠিকাদাররা বিল তুলে নেন। এসব অভিযোগ নতুন নয়। তবে কয়েক বছর ধরে প্রকল্পে নজরদারি যেকোনো সময়ের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। আইএমইডি বিভিন্ন কৌশলে বাস্তবায়ন তদারকি করছে। তারপরও অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাস্তবায়ন হার ছিল খুবই হতাশাজনক।
Share On:
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply