রমজান মাসে কর্মসূচি চলমান রাখার ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিএনপি জনগণের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতির বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘তাদের এই কর্মসূচি রমজানের মধ্যেও জনভোগান্তি সৃষ্টি করবে।’
আজ মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
রমজান সংযমের মাস উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘এ মাসেও বিএনপির নেতারা তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি চলমান রাখার কথা বলছে। তারা দেশের জনগণকে কোনোভাবেই স্বস্তিতে থাকতে দিতে চায় না। আমরা আগেই বলেছি, রমজানে ঘোষিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিএনপি আরও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। রমজান মাসে জনগণের যাতে কষ্ট না হয়, সে জন্য সরকার সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের পাশে ছিল এবং থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে তাদের তথাকথিত সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে দেশের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংসের পাঁয়তারা করে আসছে। কিন্তু তাদের ডাকে জনগণ কখনোই সাড়া দেয়নি। বরং তারা জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। ফলে বিএনপি তথাকথিত আন্দোলনের মাধ্যমে গণসম্পৃক্ততার কোনো স্বরূপ তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপি সর্বদাই গণবিরোধী অবস্থানে থেকে রাজনীতি করে আসছে। তাই বিএনপির পক্ষে কখনোই গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব নয়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতা-কর্মীরা পরোক্ষভাবে বন্দিত্বের কথা বলছে; তারা নাকি স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারে না। অথচ তারা নিয়মিতভাবে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে, চড়া গলায় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ভুলের চোরাবালিতে আটকা পড়েছে, ভুল রাজনীতির ফ্রেমে বন্দী হয়ে আছে।’
বিএনপি নেতা-কর্মীরা খুনি, দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী তারেক রহমানের নেতৃত্বের দাসত্বে বন্দী হয়ে আছে বলে দাবি করেন কাদের। তিনি বলেন, ‘তাদের শুভবুদ্ধির উদয় বা বিবেক জাগ্রত না হলে তারা এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাবে না। বন্দী অবস্থায় থাকতে থাকতে ভ্রমের কারণে তারা তাদের বন্দিত্বের দায়ভার সরকারের ওপরে চাপানোর অপচেষ্টা করছে।’
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস পূর্ববতী সময়ে আওয়ামী লীগও নিয়মিত ইফতার পার্টি করত। এরপর অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে দলটি তা থেকে সরে আসে। বর্তমানে দলটি সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের কাছে ইফতার ও সাহরির খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে আসছে। এবারও দলটি একই কর্মসূচি পালন করবে।
Share On:
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply