| |
ভিডিও
ads for promotions
/
রমজানে স্থিতিশীল মসলার পাইকারি বাজার

রমজানে স্থিতিশীল মসলার পাইকারি বাজার

নিউজ ডেস্ক: নাগরিক আলো

প্রকাশিত: 25 March, 2024

  • 89
রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর মসলার বাজার অস্থির হয়ে উঠলেও এ বছর স্থিতিশীল। দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে এক মাসের ব্যবধানে সব ধরনের মসলার দাম কিছুটা কমেছে। এছাড়া খুচরা বাজারে অপরিবর্তিত এসব পণ্যের দর।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে সব ধরনের মসলার দাম সহনীয়। বর্তমানে ক্রেতাসমাগম অনেক কম। যে পরিমাণ মসলার সরবরাহ আছে সেটা ক্রেতার চাহিদার তুলনায় বেশি। তাছাড়া পেঁয়াজের বাজার অর্ধেকে নামায় অন্যান্য মসলার দাম সেভাবে বাড়েনি। ক্রেতাসমাগম না বাড়লে আগামীতে দাম আরো নিম্নমুখী হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, পাইকারি বাজারে ভারতীয় এলাচ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ২ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার ৪৫০ টাকায়। এক মাসে আগেও এ এলাচ বিক্রি হয়েছিল ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত। সে হিসাবে এলাচের দাম কমেছে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা। ভারতীয় জিরা এক মাস আগে কেজিপ্রতি ৮০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ৬৪০ টাকা এবং আফগানিস্তানের জিরা গত মাসে ৭০০ টাকা বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৬০ টাকায়। এদিকে সিরিয়ার জিরা বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকায়। ভারতীয় জিরা প্রায় ১৫০ টাকা কমলেও অন্যান্য দেশের জিরার দামও বেশ কমেছে।

লবঙ্গ এক মাস আগে ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি দেড় হাজার টাকা। সে হিসাবে দাম কমেছে কেজিতে ১০০ টাকা। দারুচিনি কেজিপ্রতি ৩৬০-৪০০ টাকায় বিক্রি হলেও এক মাসে আগে প্রায় একই দাম ছিল মসলাটির। দেশী জাতের শুকনা মরিচ কেজিপ্রতি এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৩৭০ টাকায়। নোয়াখালীর শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। এছাড়া হলুদ ২৫০-২৮০ টাকা, ধনিয়া মানভেদে কেজিপ্রতি ২৬০-৩৫০, জয়ফল ১ হাজার ৬০০, জয়ত্রী ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ ও তেজপাতা ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত এক মাসে সব ধরনের মসলা পণ্যের দাম কিছুটা কমেছে।


চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি ও মসলা ব্যবসায়ী সোলাইমান বাদশা বণিক বার্তাকে বলেন, ‘‌চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে মসলা পণ্যের দাম স্থিতিশীল। দাম না বেড়ে বরং কিছুটা নিম্নমুখী। রমজানে মসলার চাহিদা কোরবানির ঈদের মতো এত বেশি থাকে না। তাছাড়া কয়েক বছর ধরে মসলাজাতীয় পণ্যের দাম অত্যাধিক বেড়েছে। তবে এখন বাজার বেশ সহনশীল।’


মসলার দাম স্থিতিশীল থাকার কারণ সম্পর্কে ব্যবসায়ীরা বলছেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নিয়মিত বাজার মনিটরিং করায় বাজারে মসলার দাম বাড়েনি। জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটের বাজার মনিটরিং করা এবং ক্রেতাদের চাহিদা স্বাভাবিক থাকায় মসলা পণ্যের বাজার স্থিতিশীল। রমজানের শুরুতে মসলার কিছুটা চাহিদা থাকলেও এখন কমেছে।


Share On:

0 Comments

No Comment Yet

Leave A Reply

Nagorik Alo is committed to publish an authentic, Informative, Investigate and fearless journalism with country’s people. A highly qualified and well knowledged young team of journalists always fetch real news of the incidents or contemporary events. Providing correct news to the country's people is one kinds of community service, Keeping this in mind, it always publish real news of events. Likewise, Nagorik Alo also promised to serve the Bangladeshi people who reside in out of the country.

সম্পাদক : মোঃ ইলিয়াস হোসেন ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : আরিফুর রহমান info@nagorikalo.com যোগাযোগ : 30/A, সাত্তার সেন্টার ( হোটেল ভিক্টরি) লেভেল 9, নয়া পল্টন, ঢাকা--১০০০ +8801753634332

© ২০২৩ nagorikalo.com