ভারতীয় পণ্য বর্জনের কথা বলতে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আজকে পণ্য বর্জনের কথা বলছি। একটা লেখা দেখলাম, ভারতের সবচেয়ে বড় পণ্য কী? সেটা শেখ হাসিনা। এটা বর্জন করলেই তো শেষ। বর্জন তো করছেই, এখন এটাকে ছুড়ে ফালাইয়া দেন, তাহলে তো শেষ। এই একটা পণ্য বর্জন করলেই তো জাতি মুক্ত। আর সকল পণ্য বর্জন করার প্রয়োজন হয় না।’
আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে ‘অন্তরে মম শহীদ জিয়া’ নামের একটি সংগঠন।
বাংলাদেশের নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের কাহিনি মনে আছে না? তখন সুজাতা সিং এরশাদের সঙ্গে কী করেছে মনে নেই? প্রতিবারই তো ভারত এসে নির্বাচন করে দিয়ে যায়।’
ভারতীয় পণ্য বর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা অনেকে জানেন না, যারা ভারতের যান চিকিৎসার জন্য, ভ্রমণের জন্য, তারা হয়তো জানতে পারেন। প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজার ভিসার আবেদন জমা পড়ে। ৮০০ টাকা করে হলে ৮০ কোটি টাকা, মাসে ২ হাজার ২৪০ কোটি টাকা, বছরে তাহলে বোঝেন কত কোটি টাকা ওরা (ভারত) পাচ্ছে। একজন ভিসার জন্য আবেদন করলে ৮০০ টাকা জমা দেন। ভিসা না দিয়ে পাসপোর্ট ফেরত দিলেও ৮০০ টাকা থেকে যায়।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যদি বলে যে কালকে থেকে ভারতে যামু না, তখন হাসিনা দিল্লি তোমারে কইয়ে দেব যে, যাও না, আর পারতেছি না গো। আমাগো বাঁচতে দাও, তোমারে রাখতে গিয়া আমরা তো আর পারি না।’
চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা যে স্বপ্ন দেখে স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছি, সেই স্বপ্ন শেষ হয়নি। কারণ, আকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা আমাদের আয়ত্তে আসে নাই। আন্দোলনের আমরা যে স্বপ্ন দেখেছি, সেই স্বপ্ন শেষ হয়নি। সে জন্য বলি, এই মুক্তির সংগ্রামের জন্য আমাদের আন্দোলনের কোনো বিকল্প নাই।’
সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, রফিক শিকদার, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মুনিরসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
Share On:
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply