সরকারি চাকরি দিয়ে পুনর্বাসনসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহতদের পরিবার।
প্রস্তাবিত ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবার বিষয়ক কমিটি’র আহ্বায়ক হারুনুর রশিদের সই করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহত শিক্ষার্থী, শিশু, যুবক, বৃদ্ধ, পুরুষ ও নারীর পরিবারের সঠিক তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কমিটির দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ফুড কার্ড কর্মসূচির আওতায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে মাসিক দুই থেকে তিন হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান, চাকরিপ্রার্থীদের তিন হাজার টাকা বেকার ভাতা প্রদান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আহতদের চিকিৎসার জন্য সশস্ত্র বাহিনী ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে দ্রুত পুনর্বাসন করা।
দাবিগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সরাসরি সরকারি বৃত্তি প্রদান, শেখ হাসিনা পরিবারের বিভিন্ন ব্যক্তির নামে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন এবং পিলখানায় শহীদ সেনা কর্মকর্তার নামে এবং বিভিন্ন আন্দোলন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের নামে নামকরণ।
চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে জরুরি ভিত্তিতে জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা মিশনে নিরপেক্ষ সাবেক সেনা ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অন্তর্ভুক্তি এবং বিএনসিসি ও বাংলাদেশ স্কাউটকে সহযোগী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।
বিগত দিনে আন্দোলনে ব্যবহৃত সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া, বিগত সরকারের আমলে জুলুম-নির্যাতনের কারণে পদোন্নতি/বাধ্যতামূলক অবসরের কারণে সুবিধাবঞ্চিত সব শ্রেণীর সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুনঃনিয়োগের বিষয়টিও বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।
দাবিগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- বড় বড় ঋণখেলাপি ও বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দ্রুত আদায় এবং সামরিক আদালতে ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচারকারীদের দ্রুত বিচার এবং কোটাবিরোধী আন্দোলনের সক্রিয়, আহত ও নিহতদের পরিবারের মধ্য থেকে কমপক্ষে একজনকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্ত করা।
কমিটি এই আন্দোলনে নিহত ও আহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে। পাশাপাশি সেনাপ্রধানসহ সশস্ত্র বাহিনীর সব স্তরের সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিকদের অভিনন্দন জানিয়েছে।
Share On:
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply