| |
ভিডিও
ads for promotions
/
স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে মধ্যবিত্তদের টিসিবির পণ্য দেয়ার পরিকল্পনা

স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে মধ্যবিত্তদের টিসিবির পণ্য দেয়ার পরিকল্পনা

নিউজ ডেস্ক: নাগরিক আলো

প্রকাশিত: 03 June, 2024

  • 87
আগামী অর্থবছর থেকে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্তের পাশাপাশি মধ্যবিত্তদের হাতে তুলে দিতে চান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। গতকাল চলতি বছরের জুন মাসের টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আর অস্থায়ীভাবে টিসিবির পণ্য দিতে চাই না। আগামী অর্থবছর থেকে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে এ পণ্যগুলো দিতে চাই। সুবিধাভোগীরা যেন সময়মতো পণ্যগুলো নিতে পারে। এ প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। ডিলারদের অনুরোধ করব, আপনারাও এ ব্যবস্থা করুন।’

তিনি বলেন, ‘আগামী অর্থবছরে আমরা টিসিবির একটি বাফার স্টক তৈরি করার চেষ্টা করব। যাতে বিভিন্ন সময়ে বাজারে পণ্যের ঘাটতি দেখা দিলেও আমরা যেন দামটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি। সেই বাফার স্টক থেকে পণ্য সরবরাহ করতে পারি। এজন্য আমরা রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি।’ 

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের যদি দোকান স্থায়ী হয়ে যায়, তাহলে প্রায় ১০ হাজারের মতো নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। এখন শুধু নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের ন্যায্যমূল্যে পণ্য দিচ্ছি। তখন মধ্যবিত্তদেরও ন্যায্যমূল্যে পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হবে।’ 

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘প্রতি মাসেই আমাদের চেষ্টা থাকে যত তাড়াতাড়ি টিসিবির পণ্যটি সুবিধাভোগীর হাতে তুলে দিতে পারি। জুনে প্রথম কর্মদিবসেই টিসিবি এ কার্যক্রমটি শুরু করতে পেরেছে। এজন্য টিসিবির চেয়ারম্যানসহ অন্য কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাই। এক কোটি পরিবারকে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দেয়ার এ কর্মযজ্ঞটা অনেক বড়।’

তিনি বলেন, ‘সামনে কোরবানির ঈদ। ঈদের আগেই সারা দেশে প্রতিটি সুবিধাভোগীর হাতে টিসিবির এ প্যাকেজটি আমরা তুলে দিতে চাই।’

আহসানুল ইসলাম আরো বলেন, ‘এক কোটি পরিবার যখন এ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো পায়, তখন চিনি, চাল, ডাল ও তেলের বাজারের চাহিদাও কিছুটা পূরণ হয়। এর মাধ্যমে আমরা যেমন এক কোটি পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে চারটি পণ্য দিচ্ছি, তেমনি বাজারে দ্রব্যমূল্যের চাপও নিয়ন্ত্রণ করছি। এই একটি কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দুটি উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে। এতে শুধু সুবিধাভোগী পরিবারই সুবিধা পাচ্ছে না, বাজারের চাপও কমছে।


এ মৌসুমে খুব ভালো ধানের ফলন হয়েছে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের খাদ্য বিভাগ ধান ও চাল সংগ্রহ করছে। আশা করি, আমরা চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব।’

প্রসঙ্গত, জুনে টিসিবির মাধ্যমে সারা দেশে এক কোটি সুবিধাভোগী পরিবারকে ৩০ টাকা দরে পাঁচ কেজি চাল, ১০০ টাকা দরে দুই লিটার সয়াবিন তেল, ৬০ টাকা দরে দুই কেজি মসুর ডাল ও ঢাকায় ৭০ টাকা দরে এক কেজি চিনি দেয়া হবে। প্রতি প্যাকেজের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৪০ টাকা।


Share On:

0 Comments

No Comment Yet

Leave A Reply

Nagorik Alo is committed to publish an authentic, Informative, Investigate and fearless journalism with country’s people. A highly qualified and well knowledged young team of journalists always fetch real news of the incidents or contemporary events. Providing correct news to the country's people is one kinds of community service, Keeping this in mind, it always publish real news of events. Likewise, Nagorik Alo also promised to serve the Bangladeshi people who reside in out of the country.

সম্পাদক : মোঃ ইলিয়াস হোসেন ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : আরিফুর রহমান info@nagorikalo.com যোগাযোগ : 30/A, সাত্তার সেন্টার ( হোটেল ভিক্টরি) লেভেল 9, নয়া পল্টন, ঢাকা--১০০০ +8801753634332

© ২০২৩ nagorikalo.com