খুলনার কয়রায় মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) যাচ্ছেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে সুইডেনের রাজকন্যা প্রিন্সেস ক্রাউন ভিক্টোরিয়া। তাকে বরণে প্রস্তুত খুলনা ও কয়রাবাসী। সুন্দরবনঘেরা এই উপজেলায় ক্রাউন প্রিন্সেসের আগমনে এরইমধ্যে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। তার আগমন উপলক্ষে উপজেলাজুড়ে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরো এলাকাজুড়ে নিরপত্তার পাশাপাশি রাস্তাঘাট পরিষ্কার পরিছন্ন করা হচ্ছে। তার পরিদর্শনের জায়গাগুলো পরিপাটিভাবে গোছানোর কাজও শেষ পর্যায়ে।
এ বিষয়ে খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াছির আরেফীন বলেন, আগামী ১৮-২১ মার্চ প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছা দূত হিসেবে বাংলাদেশে অবস্থান করবেন। এর মধ্যে ১৯ মার্চ তিনি বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় অঞ্চল খুলনার কয়রা উপজেলা পরিদর্শন করবেন। উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় লোকজনের জীবনমান নিজ চোখে দেখা, লিঙ্গ সমতা, মহারাজপুর ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটালাইজেশনে রূপান্তর দেখা, মদিনাবাদ স্মার্ট পোস্ট সেন্টারের উদ্বোধন এবং ব্যবসায়িক খাতের ভূমিকার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এসডিজি বাস্তবায়নে অগ্রগতি এবং চলমান কয়রার দূর্যোগ কবলিত চ্যালেঞ্জগুলো পরিদর্শন করবেন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া।
মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, সুইডেনের প্রিন্সেস ক্রাউন ভিক্টোরিয়ার আমাদের পরিষদে আসবেন এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি সাজানো হচ্ছে।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রীয় অতিথির কয়রায় আগমনে এরইমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি, র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, কোস্টগার্ড, গোয়েন্দা নজরদারিসহ সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম তারিক-উজ-জামান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় রাষ্টীয় অতিথিকে বরণের জন্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
কয়রায় প্রায় ৪১ হাজার জনসংখ্যার এ ইউনিয়নের ১২ গ্রামের মানুষের সুপেয় পানির সংকট দীর্ঘদিনের। বছরের তিন মাস বৃষ্টির পানিতে চললেও বাকি ৯ মাস অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়। খাবার পানি নিরসনে ইউনিয়নের ভাগবা, মহেশ্বরীপুর, সাতহালিয়া ও নয়ানি গ্রামে চারটি রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টার স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ১ হাজার ৬০০ উপকারভোগী কার্ড সিস্টেমের মাধ্যমে ছয় মাস খাবার পানি সংগ্রহ করতে পারেন। বাকি ছয় মাস এসব উপকারভোগীকেও ড্রামপ্রতি ৬০ টাকা দিয়ে খাবার পানি কিনতে হয়। তবে ঘর-গৃহস্থালিসহ অন্যান্য কাজ নদীর নোনা পানি দিয়েই সারতে হয়। এতে সারা বছর তাদের স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতে হয়।
Share On:
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply