চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। যার ফলে ঢুবে গেছে বসতবাড়ি, ঝুঁকিতে রয়েছে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত বাসিন্দারা। এরই মাঝে পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভেসে গিয়ে নোহান মিয়া (১২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পুঁইছড়ি গজিনিয়া পাড়া এলাকার শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, নিহত নোহান মিয়া স্থানীয় আমিন হোসেনের ছেলে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পুঁইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেকুর রহমান।
অন্যদিকে সাধনপুর এলাকায় মাটির ঘর ভেঙ্গে মাটি চাপায় ২টি ছাগল মারা গেছে এবং ভূপতি দে কালু নামের এক ব্যক্তি ও তার স্ত্রী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার বিকাল পর্যন্ত টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ে ঢলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। উপজেলার পুকুরিয়া, সাধনপুর, কালীপুর, বৈলছড়ি, জলদী, শীলকূপ, চাম্বল, পুঁইছড়ি এলাকায় পাহাড়ি ঢলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও তলিয়ে গেছে উপজেলার নিম্নাঞ্চল। এতে চরম দূর্ভোগে পড়ছে এলাকার লোকজন।
সরেজমিনে দেখা যায়, টানা বৃষ্টির ফলে উপজেলার সাধনপুর, কালীপুরের গুনাগরি পয়েন্ট ও বৈলছড়ি বাজার, পৌরসভার বাঁশখালী প্রধান সড়ক টপকে গিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবাহিত হয়। এতে হাজারো পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। অনেকের বসতঘরে পানিতে তলিয়ে যায়। তলিয়ে যায় পূর্ব বাঁশখালীর বিভিন্ন গ্রামের চলাচলের সড়কগুলো। পাশাপাশি মসজিদ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও তলিয়ে যায়। অধিকাংশ মাছের প্রজেক্ট ও পুকুর তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে মুখে পড়েছে মৎস্য খামারিরা। পানি নিষ্কাশনের খালগুলো দখল, দূষণ এবং অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে এমন অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কে. এম সালাহউদ্দিন কামাল বলেন, ভারী বর্ষণে আমার ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান প্লাবিত হয়েছে। পানিতে মাষ্টার পাড়ায় একটি মাটির ঘর সম্পূর্ণ ভেঙ্গে মাটি চাপায় ২টি ছাগল মারা গেছে এবং ভূপতি দে কালু ও তার স্ত্রী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। অতি বৃষ্টিতে সাধনপুর ইউনিয়নবাসীকে সর্তকতা অবলম্বনের অনুরোধ করা যাচ্ছে।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বলেন, পুঁইছড়ি ইউনিয়নে এক শিশুর মৃত্যুর খবর স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে অবগত হয়েছি। প্রতিটি ইউনিয়নের খবর রাখছি।
Share On:
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply