*সিপিসি-৩, র্যাব-১৪, টাঙ্গাইল ও সিপিএসসি, র্যাব-৩ শাহজাহানপুর, ঢাকা ক্যাম্প কর্তৃক যৌথ অভিযানে টাঙ্গাইল কালিহাতি থানার চাঞ্চল্যকর রায়হান (২৮) হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ১নং আসামী গ্রেফতার।
টাঙ্গাইল জেলা কালিহাতি থানায় বাদী মোঃ বাদল মিয়া (৬৪), পিতা-মৃত ইদ্রিস আলী, সাং-কোকরাইল, থানা-কালিহাতি, জেলা-টাঙ্গাইল এর দায়েরকৃত এজাহার পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, ভিকটিম রায়হান (২৮) গত ০৭ বছর পূর্বে মুন্নি আক্তার এর সাথে প্রেম ভালবাসার মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তাদের বিবাহের পর থেকে ভিকটিমের সাথে তার স্ত্রীর বড় ভাই মোঃ জনি (২৬) সহ অন্যান্য আসামীদের সাথে শত্রুতা শুরু হয়। পূর্ব শত্রুতার জেরে আসামি মোঃ জনি (২৬) অন্যান্য আসামীদের সহায়তায় ভিকটিম কে প্রায়ই মারপিট করত এবং বিভিন্নভাবে খুন করার হুমকি দিত। এরই প্রেক্ষিতে, গত ০৫ মে ২০২৫ তারিখে রাত অনুমান ০২:৪৫ ঘটিকায় টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি থানাধীন কোকরাইল সাকিনস্থ জনৈক হযরত আলীর পতিত জমিতে ভিকটিম রায়হান কে আসামী মোঃ জনি (২৬) সহ অন্যান্য আসামীরা ধারালো দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র দিয়ে গুরুতর রক্তাত্ত জখম করে হত্যা করে লাশ ফেলে যায় । এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা মোঃ বাদল মিয়া (৬৪) বাদী হয়ে টাঙ্গাইল কালিহাতি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৮, তারিখ- ০৬ মে ২০২৫, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। উক্ত মামলা রুজু হওয়ার পর সিপিসি-৩, র্যাব-১৪, টাঙ্গাইল ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কার্যক্রম গ্রহন করে।
এরই ধারাবাহিকতায়, সিপিসি-৩, র্যাব-১৪ টাঙ্গাইল ও সিপিএসসি, র্যাব-৩, শাহজাহানপুর, ঢাকা এর যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৭ মে ২০২৫ তারিখ সময় বিকাল অনুমান ১৮:০০ ঘটিকায় ঢাকা মহানগরীর দক্ষিন মুগদা হতে টাঙ্গাইল কালিহাতি থানার চাঞ্চল্যকর রায়হান হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ১নং আসামী মোঃ জনি (২৬), পিতা- আনোয়ার হোসেন, সাং- রামপুর বিলপাড়, থানা- কালিহাতি, জেলা- টাঙ্গাইল'কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য টাঙ্গাইল কালিহাতি থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
Share On:
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply