ভারত ও পাকিস্তানের শত্রুতা বহু পুরোনো। তাদের এই বৈরিতা রাজনীতি ছাড়িয়ে এখন খেলার মাঠে। এই কারণেই গত ১৬ বছর ধরে পাকিস্তান সফরে যায় না ভারত ক্রিকেট দল। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী বছর পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। ইতিমধ্যে ভারতের এই সিদ্ধান্তের কথা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) জানিয়ে দিয়েছে আইসিসি।
পাকিস্তান সফরে না যাওয়ার ক্ষেত্রে ভারত বারবার নিরাপত্তা ইস্যু সামনে আনে। অথচ সাম্প্রতিক বছরে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ টেস্ট খেলুড়ে প্রায় সব দল নির্বিঘ্নে পাকিস্তানে গিয়ে খেলে এসেছে। চির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের এমন স্বেচ্ছাচারিতায় এবার পাকিস্তান সরকারও কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিলো।
বার্তা সংস্থা এএফপিসহ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম বলছে, পাকিস্তান সরকার বারবার বলে এসেছে, আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের স্বার্থে রাজনীতিকে খেলাধুলার সঙ্গে মেশানো উচিত নয়। তবে ভারত সরকার সেই কথা কানে না নেয়ায় তাদের বিপক্ষে খেলার ব্যাপারে বিধিনিষেধ জারি করার কথা ভাবছে পাক সরকার।
সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী পিসিবিও ভারতের বিপক্ষে কোনো ধরনের ম্যাচ না খেলা ও ভবিষ্যতে ভারতে দল না পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। বলতে গেলে, ভারত বর্জনের ডাক দিতে চলেছে পাকিস্তান।
২০২৫ থেকে ২০৩১—এই সাত বছরে ভারতে আইসিসির চারটি বড় ইভেন্ট হওয়ার কথা। ২০২৫ মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২৯ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও ২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এই চার টুর্নামেন্ট খেলতে পাকিস্তান দল যদি ভারতে না যায় অথবা টুর্নামেন্ট সরিয়ে নিয়ে যদি অন্য কোথাও আয়োজন করা হয়; কিন্তু পাকিস্তান তাতেও ভারতের বিপক্ষে খেলতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে অর্থনৈতিক দিক থেকে বড় ক্ষতির মুখে পড়বে আইসিসি।
বেশি লাভের আশায় আইসিসি অনেকটা ঘোষণা দিয়ে ভারত–পাকিস্তানকে তাদের যেকোনো টুর্নামেন্টে একই গ্রুপে রাখে। কিন্তু ভবিষ্যতে পাকিস্তান যদি ভারতে খেলতে না যায় অথবা ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কট করে, তাহলে দর্শকদের আগ্রহ কমে যেতে পারে। এতে সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান ও পৃষ্ঠপোষকেরাও টুর্নামেন্ট থেকে সরে যেতে পারে। এর জেরে আইসিসির প্রত্যাশিত রাজস্বে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আইসিসি সম্প্রচারস্বত্ব ও পৃষ্ঠপোষক—এই দুই খাত থেকে সর্চোচ্চ আয় করে। ২০২৪ থেকে ২০২৭ চক্রে সম্প্রচারস্বত্ব থেকেই আইসিসির ৩২০ কোটি ডলার আয়ের কথা। এই সময়ে অন্যান্য খাত থেকে সংস্থাটি আরও ১০০ কোটি ডলার আয়ের প্রত্যাশা করছে। আর তাদের বিপুল পরিমাণ আয়ের বড় উৎস ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ। এখন যদি এসব ম্যাচ না হয় তাহলে সব ধরনের সম্প্রচার ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান চুক্তি থেকে সরে আসবে।আইসিসির আয় অনেক কমে যাবে। এতে বিশ্ব ক্রিকেটের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ক্রিকেট বোর্ডগুলোকে রাজস্ব বণ্টনের হার কমে যাবে। বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটের উন্নয়ন বাধার মুখে পড়বে।
Share On:
70 Comments
agxrXSqt
November 22, 2024 at 4:01pmagxrXSqt
November 22, 2024 at 4:01pmVgNcfeKr
November 25, 2024 at 4:49amVgNcfeKr
November 25, 2024 at 4:49amcYXDvDNkJ
November 26, 2024 at 2:38amcYXDvDNkJ
November 26, 2024 at 2:38ammEHBmshVmYCvK
November 27, 2024 at 10:53pmmEHBmshVmYCvK
November 27, 2024 at 10:53pmvKHhBsWz
December 03, 2024 at 10:46amvKHhBsWz
December 03, 2024 at 10:46amLeave A Reply