এ ব্যাপারে গীতিকবি শহীদ মাহমুদ জঙ্গী বলেন, বাংলাদেশের ব্যান্ড শিল্পের ইতিহাসে প্রথম একক কোনো অনুষ্ঠানের জন্য দশটি ব্যান্ড দশটি নতুন গান গেয়েছে। এই অনুষ্ঠানের নতুনত্ব হচ্ছে-দশটি গানের কথা লিখেছেন একজন গীতিকার, সুর করেছেন একজন সুরকার। বিটিভির জিএম নুরুল আজমের সরাসরি হস্তক্ষেপ ছাড়া এতগুলো গান দ্রুততম সময়ের মধ্যে লেখা সম্ভব ছিলো না। কর্তৃপক্ষ আমাকে সুযোগ দিয়েছেন তারুণ্যের জন্য কিছু করতে, আমি চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি ফোয়াদ নাসের বাবু ভাইকেও ধন্যবাদ, তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন প্রতিটি ব্যান্ডের ঢং বজায় রেখে সুর করার জন্য। এ অধ্যায়টি খুবই পরিশ্রমের। তবে আমরা টিম হয়ে কাজটি উপভোগ করেছি। এমন নান্দনিক কাজে বিটিভি আরো এগিয়ে যাবে এটাই প্রত্যাশা।
অপরদিকে সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু বলেন, এটা স্বীকার করতে হবে যে বিটিভি বা এর বাইরে এতোগুলো মৌলিক সুর এক সঙ্গে এতো কম সময়ে এর আগে কেউ করেনি। কেমন হয়েছে তা কেবল শ্রোতারাই বলতে পারবেন। পুরো আয়োজনটির জন্য বিটিভির কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে জিএম নুরুল আজমের কথা না বললেই নয়, আমরা তার কাছে বিশেষভাবে ঋণী।
বিটিভির জেনারেল ম্যানেজার নুরুল আজম তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘বাংলাদেশ টেলিভিশনকে একঘেঁয়ে জায়গা থেকে বের করে সকল দর্শকের আস্থার জায়গায় আনতে বৈচিত্র্য দরকার ছিলো। বিশেষ করে তারুণ্যের জায়গাটায়। তারই অংশ হিসেবে ব্যান্ড সঙ্গীতের উদ্যোগ নেওয়া। মাননীয় সচিব এবং ডিজি স্যারের সময়োপযোগী ভাবনায় অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করতে পেরে ভালো লাগছে। বিশেষ করে অংশীজন সকল ব্যান্ড দলকে ধন্যবাদ যে তারা কম সময়ে আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন।’
অনুষ্ঠানটি দুই পর্বে প্রচার হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর ও ৩১ ডিসেম্বর রাত ১০টায়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ফেরদৌস বাপ্পী।
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply