| |
ভিডিও
ads for promotions
/
এক বছরে চীনের জনসংখ্যা কমেছে ২০ লাখেরও বেশি

এক বছরে চীনের জনসংখ্যা কমেছে ২০ লাখেরও বেশি

নিউজ ডেস্ক: নাগরিক আলো

প্রকাশিত: 17 January, 2024

  • 83
বিগত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে চীনের জনসংখ্যা কমেছে ২০ লাখেরও বেশি। এ নিয়ে টানা দুই বছর ধরে কমছে চীনের জনসংখ্যা। কোভিড মহামারির কারণে ব্যাপক প্রাণহানি ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা কমে যাওয়ার মতো নেতিবাচক বিষয়ের সঙ্গে বাড়তি দুশ্চিন্তা হিসেবে যুক্ত হয়েছে এই জনসংখ্যা কমে যাওয়ার বিষয়টি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

চীনের ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস জানিয়েছে, ২০২৩ সালে চীনের জনসংখ্যা কমেছে ২০ লাখ ৮০ হাজারের বেশি।

 যা চীনের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৪১ কোটির দশমিক ১৫ শতাংশ। এর আগে, ২০২২ সালে চীনের জনসংখ্যা কমেছিল ৮ লাখ ৫০ হাজারের মতো। 

যা ১৯৬১ সালের চেয়ে অনেক বেশি। মাও সে তুংয়ের আমলে সেই সময় চীনে দুর্ভিক্ষের কারণে বিপুলসংখ্যক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল।

কোভিড-১৯ মহামারি শুরুর পর টানা তিন বছর ধরে চীন কঠোর লকডাউনসহ অন্যান্য সর্তকতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। 

কিন্তু তারপরও ২০২৩ সালে এসে দেশটিতে কোভিডের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। চীন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই প্রাদুর্ভাব বেশি মৃত্যুহারের অন্যতম কারণ। 

চীন ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস জানিয়েছে, আগের বছরের তুলনায় মৃত্যুহার প্রায় ৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে চীনে ২০২৩ সালে মোট মানুষ মারা গেছেন প্রায় ১ কোটি ১১ লাখ।

১৯৭৪ সালে চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের পর এই হার সবচেয়ে বেশি। 

এদিকে, চীনে শিশু জন্মের হারও ব্যাপক কমে গেছে। ২০২৩ সালে চীনে শিশু জন্মহার কমেছে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। 

সে বছর দেশটি নতুন শিশুর জন্ম হয়েছে ৯০ লাখ ২০ হাজার। গত বছর চীনের প্রতি ১ হাজার জনে শিশু জন্মের হার ছিল ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। 

অথচ ২০২২ সালে এই হার ছিল ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ। 

শেষবার চীনে রেকর্ড জনসংখ্যা কমেছিল ১৯৬০ সালে। ওই সময় দেশটি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছিল। 

গ্রেট লিপ ফরওয়ার্ড নামে পরিচিত মাও সেতুং কৃষি নীতির কারণেই এই বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্ট হয়েছিল। পরে বিপুল জনসংখ্যার কারণে ১৯৮০ সালে চীন ‘এক সন্তান নীতি’ আরোপ করে।

২০১৬ সালে তারা এই নীতি থেকে সরে এসে ২০২১ সালে দম্পতিদের তিনটি সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেয়। 

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে শিশু জন্মের হার কমছে আশঙ্কাজনকভাবে। ২০২১ সালে চীনে ১ কোটি ৬০ লাখ শিশুর জন্ম হয়েছিল। 

এই সংখ্যা ২০২০ সালের চেয়ে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ কম। চীনের এই পরিস্থিতি বৈশ্বিক অর্থনীতি ও বিশ্বব্যবস্থায় বড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

চীনের জীবনযাত্রার ব্যয় দ্রুত বাড়ছে। একই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে নারীর সংখ্যাও বাড়ছে। এ ছাড়া চীনের নারীরা এখন উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। 

এসব কারণে দেশটিতে শিশু জন্মের হার কমছে। তবে শিশু জন্মের হার কমার পেছনে চীনের মানুষের দীর্ঘদিনের অভ্যাসও দায়ী বলে মনে করছেন কেউ কেউ। 

অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষক শিউজিয়ান পেং বলেন, চীনা জনগণও ‘কয়েক দশক এক সন্তান নীতির কারণে ছোট পরিবারে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে।’

 তিনি বলেন, এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে চীনা সরকারকে উপায় বের করতে হবে। তা না হলে শিশু জন্মের হার আরও কমবে।


Share On:

0 Comments

No Comment Yet

Leave A Reply

Nagorik Alo is committed to publish an authentic, Informative, Investigate and fearless journalism with country’s people. A highly qualified and well knowledged young team of journalists always fetch real news of the incidents or contemporary events. Providing correct news to the country's people is one kinds of community service, Keeping this in mind, it always publish real news of events. Likewise, Nagorik Alo also promised to serve the Bangladeshi people who reside in out of the country.

সম্পাদক : মোঃ ইলিয়াস হোসেন ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : আরিফুর রহমান info@nagorikalo.com যোগাযোগ : 30/A, সাত্তার সেন্টার ( হোটেল ভিক্টরি) লেভেল 9, নয়া পল্টন, ঢাকা--১০০০ +8801753634332

© ২০২৩ nagorikalo.com