রানের দেখা পাচ্ছিলেন না সৌম্য সরকার। তবুও দলে সুযোগ পাওয়ায় বেশ কথা শুনতে হয়েছে কোচ ও নির্বাচক প্যানেলকে।
রানের দেখা পাচ্ছিলেন না সৌম্য সরকার। তবুও দলে সুযোগ পাওয়ায় বেশ কথা শুনতে হয়েছে কোচ ও নির্বাচক প্যানেলকে। ম্যাচের আগের দিনও সৌম্যকে নিয়ে অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে হাথুরুসিংহেকে। সেখানেও প্রিয় শিষ্যকে আগলে রেখেছেন কোচ। অবশেষে ব্যাট হাতে কোচের সেই আস্থার প্রতিদান দিলেন সৌম্য সরকার। তার দেড়শো ছাড়ানো ইনিংসে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) নিউজিল্যান্ডের নেলসনে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। সৌম্য সরকারের ১৬৯ রানে ভর করে ১ বল বাকি থাকতে ২৯১ রান করে অলআউট হয় টাইগাররা। কিউই বোলার উইল ও’রর্ক ও জ্যাকব ডাফি ৩টি, মিলনে, জোশ ক্লার্কসন ও আদি অশোক একটি করে উইকেট তুলে নেন।
এই এক সেঞ্চুরিতে সৌম্য সরকার চারটি মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। যেখানে তিনি ছাড়িয়ে গিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার ক্রিকেট গ্রেট শচীন টেন্ডুলকার, স্বদেশি মাহমুদউল্লাহকে। তবে ৭ রানের জন্য স্পর্শ করতে পারেননি আরেক স্বদেশি লিটন কুমার দাসকে।
৩৯.১ ওভারে কিউই বোলার অশোকের বল অফসাইডে ঠেলে দিয়ে সেঞ্চুরি উদযাপন করতে শূন্যে লাফিয়ে উঠেন সৌম্য। সেই সঙ্গে চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব দেখান তিনি। এটি ছিল ক্যারিয়ারে তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। এদিন সেঞ্চুরি পেতে সৌম্য খেলেছিলেন ১১৬ রান। দ্বিতীয় শতক থেকে তৃতীয় শতক পর্যন্ত তার সময় লেগেছে সাড়ে ৪ বছরের মতো। ২০১৮ সালের অক্টোবরে সবশেষ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন তিনি।
১২৯ করার সঙ্গে সঙ্গে সৌম্য টপকে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এতদিন সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ছিল রিয়াদের। ২০১৫ সালে মাহমুদউল্লাহ ১২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।
১৫০ রান করার সঙ্গে সঙ্গে সৌম্য তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে দেড়শো রান করার গৌরব অর্জন করেন। তার আগে তামিম ও লিটন দেড়শো রান করার কৃতিত্ব দেখান। তামিমের দেড়শো রানের ইনিংস রয়েছে দুটি।
১৬৪ রান করার সঙ্গে সৌম্য টপকে যান ক্রিকেট গ্রেট শচীন টেন্ডুলকারকে। এর আগে শচীন ২০০৯ সালে ক্রাইস্টচার্চে করেছিলেন অপরাজিত ১৬৩ রান। যেটি ছিল এতদিন নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কোনো এশিয়ান ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। সৌম্য এদিন করেন ১৬৯ রান।
Share On:
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply