প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, গায়িকার প্রেমিকই খুন করেছেন তাকে।
নৃশংসভাবে খুনের শিকার হয়েছেন মালয়েশিয়ার জনপ্রিয় গায়িকা জু জিয়া লিং। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) খুন করা হয়েছে তাকে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, গায়িকার প্রেমিকই খুন করেছেন তাকে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) চায়না প্রেসের বরাত ওয়ার্ল্ড অব বাজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এ তথ্য। প্রতিবেদনে দেখা যায়, দক্ষিণ ক্ল্যাংয়ের প্রধান পুলিশ এসিপি চা হুং ফং বলেছেন, রয়েল মালয়েশিয়া পুলিশ (পিডিআরিএম) একজন নারীর কাছ থেকে একটি ইমারজেন্সি ফোন পেয়েছিল। ওই নারী ক্ল্যাংয়ের তামান চি লিউংয়ে হত্যার বিষয়ে তথ্য দিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) চায়না প্রেসের বরাত ওয়ার্ল্ড অব বাজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এ তথ্য। প্রতিবেদনে দেখা যায়, দক্ষিণ ক্ল্যাংয়ের প্রধান পুলিশ এসিপি চা হুং ফং বলেছেন, রয়েল মালয়েশিয়া পুলিশ (পিডিআরিএম) একজন নারীর কাছ থেকে একটি ইমারজেন্সি ফোন পেয়েছিল। ওই নারী ক্ল্যাংয়ের তামান চি লিউংয়ে হত্যার বিষয়ে তথ্য দিয়েছিলেন।
এর আগে সোমবার ২৬ বছর বয়সী গায়িকা জু জিয়া লিং তার ৪৪ বছর বয়সী এক বন্ধুর সঙ্গে ক্ল্যাংয়ের একটি রেস্টেুরেন্টে দুপুরের খাবার খেতে গিয়েছিলেন। ওই ব্যক্তিকেই সন্দেহ করা হচ্ছে। যিনি কিনা দুপুরের খাবারের পর বাইরে তরুণীকে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করেছেন। এরপর মরদেহ গাড়িতে করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। একই সঙ্গে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র দিয়ে নিজের শরীরেও আঘাত করেন।
এ ঘটনার খবর পাওয়ার পর তিন ঘণ্টার মধ্যে সন্দেহভাজনের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ এবং তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বাড়িতে গাড়ির যাত্রীর আসন থেকে গায়িকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মেডিকেল টিম গায়িকার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, জু জিয়া লিংকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। তাকে এতটাই আঘাত করা হয়েছে যে ছুরিকাঘাত তার হৃৎপিণ্ড ছেদ করে। এ ঘটনায় এখনো হত্যার পেছনের উদ্দেশ্য জানা যায়নি।
এছাড়াও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি দুই বছর ধরে গায়িকার প্রতি নিজের আগ্রহ দেখাচ্ছিলেন এবং তাকে দুপুরের খাবারের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে নিজেকে গায়িকার বয়ফ্রেন্ড বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত ব্যক্তি।
গায়িকা জু জিয়া লিংয়ের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা সন্দেহভাজন ব্যক্তি সম্পর্কে কিছুই জানতেন না।
এদিকে পুলিশ আরও জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তির আগের কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড নেই। তবে সে যদি এ ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হয়, তাহলে তার মৃত্যুদণ্ড বা ৪০ বছরের বেশি সময়ের জন্য কারাদণ্ড হতে পারে। আর মৃত্যুদণ্ড থেকে রক্ষা পেলে সঙ্গে ১২টি বেত্রাঘাতও করা হবে তাকে।
Share On:
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply