সবশেষে মানিক সাহা বলেন, আমরা খুশি যে আমাদের দেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিরাপদ হাতে আছে, যিনি আমাদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
এদিকে, ভারতের নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাইরে মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বড় ধরনের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ময়মনসিংহে সম্প্রতি ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে দীপু চন্দ্র দাস নামে একজন পোশাকশ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পোড়ানোর ঘটনার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) এবং বজরং দলের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ চলছে।
বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি পুলিশ হাইকমিশনের বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। তবে তা সত্ত্বেও, বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে ব্যারিকেড ভেঙে কূটনৈতিক প্রতিষ্ঠানটির দিকে এগিয়ে যেতে দেখা গেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, বিক্ষোভকারীরা কমপক্ষে দুটি স্তরের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা গেছে। বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে ব্যানার এবং প্ল্যাকার্ড ধরে দূতাবাসে স্লোগান দিতেও দেখা গেছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, বিক্ষোভের খবরে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে ছিল এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ভবনের বাইরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, এলাকাটি তিন স্তরের ব্যারিকেডিং দিয়ে সুরক্ষিত করা হয়েছে। এছাড়া ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনীর সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সাথে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাকে তলব করা হয়। কূটনৈতিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply