জাপানের কাশিওয়াজাকি-কারিওয়া বিশ্বের বৃহত্তম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। রাজধানী টোকিও থেকে ২২০ কিলোমিটার উত্তরপূর্বের বন্দরশহর নিগাতায় অবস্থিত এই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্ত্র। এর আয়তন ৪২ লাখ বর্গমিটার বা ৪২০ হেক্টর। এই পরমাণু কেন্দ্রটির পরিচালনা ও দেখভালের দায়িত্বে আছে টেপকো।
মোট ৭টি পরমাণু চুল্লি আছে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে।
রয়টার্স বলছে, তারপর থেকে, জাপান আমদানিকৃত জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা করে, ৩৩টির মধ্যে ১৪টি চুল্লি পুনরায় চালু করে।
কাশিওয়াজাকি-কারিওয়া হবে টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোং ( টেপকোর) পরিচালিত প্রথম বিদ্যুৎকেন্দ্র, যা ধ্বংসপ্রাপ্ত ফুকুশিমা বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করত।
তবে, এমন পদক্ষেপের বিরোধীতা করেছেন বিক্ষোভকারীরা। সোমবার প্রায় ৩০০ জন বিক্ষোভকারী, যাদের বেশিরভাগই বয়স্ক, তারা পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার বন্ধ করুন, আমরা কাশিওয়াজাকি-কারিওয়া পুনরায় চালু করার বিরোধিতা করি এবং ফুকুশিমাকে সমর্থন করুন লেখা ব্যানার ধরে নিগাতা প্রিফেকচারের সামনে জড়ো হয়েছিলেন।
একজন বিক্ষোভকারী মাইক্রোফোনে জিজ্ঞাসা করলেন, টেপকো কি কাশিওয়াজাকি-কারিওয়া চালানোর যোগ্য? জনতা চিৎকার করে উঠল, না!
এদিকে, সিদ্ধান্তটি অনুমোদিত হলে, টেপকো ২০ জানুয়ারী প্ল্যান্টের সাতটি চুল্লির মধ্যে প্রথমটি পুনরায় সক্রিয় করার কথা বিবেচনা করছে, পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকে জানিয়েছে।
টেপকোর মুখপাত্র মাসাকাতসু তাকাতা বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে এই ধরনের দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় এবং নিগাতার বাসিন্দারা যেন কখনও একই রকম কিছুর সম্মুখীন না হন। তবে তাকাতা কবে নাগাদ এই কর্মসূচি চালু হবে তা সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply