ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের পাহাড়ি বন্য অঞ্চল দিয়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া প্রবেশের চেষ্টার সময় আটজনকে আটক করেছে স্থানীয় দুমাই পুলিশ। তাদের মধ্যে ৭ জন ইন্দোনেশীয় ও হাসান নামের এক বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান রিয়াউয়ের পুলিশ প্রধান ফ্যানি ওয়াহিউ কুর্নিয়াওয়ান।তিনি বলেন, রিয়াউ প্রদেশের দুমাইয়ের লুবুক গাউং থেকে একজন বাংলাদেশি নাগরিক ও একজন নৌকার মাঝিসহ মোট ৮ জনকে আটক করা হয়। এই সময় মানবপাচারের মূল হোতাকেও গ্রেফতার করা হয়।দুমাই পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ দল গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে গত ৯ সেপ্টেম্বর এই অভিযান চালায়। গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, একটি সাদা রঙের দাইহাতসু তেরিওস গাড়ি করে অবৈধ অভিবাসীদের মালয়েশিয়ায় পাচার করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানের পর দলটি লুবুক গাউং-এর প্রধান সড়কে গাড়িটিকে শনাক্ত করে। গাড়িটি থামানো হলে এর চালক ৩৬ বছর বয়সি বিআর কে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বিআর জানান, তিনি প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার ইন্দোনেশীয় রুপির বিনিময়ে আচেহ প্রদেশ থেকে দুমাই পর্যন্ত এই দলটিকে নিয়ে এসেছে।
আটককৃত ৭ জন ইন্দোনেশীয় অভিবাসী কর্মীর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। তারা হলেন রনি নোফলিযার (২৪), মাওয়ারদি (৩৯), হেন্দ্রা (৩৩), সেই মুলিয়ানা (৩১), এম আমিন টি (৪০), ফাইসাল (৩১) এবং রহমত হানাপিয়াহ (৩৯) ।তাদের সঙ্গে আটক করা হয়েছে ২৬ বছর বয়সি হাসান নামের এক বাংলাদেশি নাগরিককে।জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় পাচারের আগে এই ব্যক্তিদের একটি হোটেলে রাখা হয়েছিল। বাংলাদেশি নাগরিক হাসানকে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য দুমাই অভিবাসন দফতরে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে একটি সাদা দাইহাতসু তেরিওস গাড়ি, একটি স্যামসাং এ০৬ মোবাইল ফোন এবং নগদ ৭ লাখ ইন্দোনেশীয় রুপি।আটকদের বিরুদ্ধে ইন্দোনেশিয়ান অভিবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা সম্পর্কিত ২০১৭ সালের ১৮ নং আইনের ৬৮ নং ধারার সাথে ৮১ ধারার অধীনে অথবা ৮৩ নং আইনের ৬৯ নং ধারার সাথে ৮৮ নং ধারার পাশাপাশি ২০০৭ সালের ২১ নং আইনের ২ অনুচ্ছেদ (১) এবং ফৌজদারি কোডের ৫৫ এবং ৫৬ নং ধারার সাথে মানব পাচার নির্মূল সম্পর্কিত অভিযোগ আনা হয়েছে।
Share On:
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply