ট্রাম্পের দূতরা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউক্রেনীয়, রুশ ও ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সাথে ২০-দফা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছেন। যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন যে, আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে।
তবে ভূখণ্ড ও সম্ভাব্য নিরাপত্তা গ্যারান্টির বিষয়গুলোতে মতানৈক্য রয়ে গেছে যাকে কিয়েভ যেকোনো চুক্তির জন্য অপরিহার্য বলে আসছে। অন্যদিকে রাশিয়া ইউক্রেনে দখল করা তার বিস্তৃত আঞ্চলিক দাবি ত্যাগ করতে ইচ্ছুক, তেমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
জেলেনস্কি বলেছেন যে, মার্কিন নেতৃত্বাধীন আলোচনা প্রক্রিয়ায় তার সমর্থন রয়েছে। তবে কূটনীতির সাথে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ প্রয়োগ করা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি। শনিবার তিনি বলেন, ‘আমেরিকাকে স্পষ্টভাবে বলতে হবে, যদি কূটনীতি না হয়, তাহলে পূর্ণ চাপ থাকবে... পুতিন এখনও সেই ধরণের চাপ অনুভব করেননি যা থাকা উচিত।’
মায়ামিতে গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান রুস্তেম উমেরভ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা করেন বলেও জানান জেলেনস্কি। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গেও আলাদা বৈঠকে বসে। এই বৈঠকের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেই কিয়েভ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাঝেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউক্রেনকে বিশাল অঙ্কের অর্থনৈতিক সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত জানায়। জেলেনস্কি জানান, ২০২৬- ২০২৭ সালে ৯০ বিলিয়ন ইউরো অর্থায়ন পাবে ইউক্রেন। যা ভবিষ্যৎ শান্তি আলোচনায় কিয়েভের অবস্থান আরও জোরালো করবে।
এদিন জেলেনস্কি ইউক্রেনের সম্ভাব্য নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন। তিনি স্পষ্ট করেন, ‘রুশ অধিকৃত এলাকায় নির্বাচন সম্ভব নয় এবং ইউক্রেনের নির্বাচন কবে ও কীভাবে হবে, তা নির্ধারণ করার অধিকার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নেই।’
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply