বৈঠকের পর ট্রাম্প দাবি করেন, দোনবাস নিয়ে আলোচনা সঠিক পথে এগোচ্ছে। ট্রাম্পের কথায়, ‘এটার সমাধান এখনও হয়নি। কিন্তু আমরা সমাধানের কাছাকাছি রয়েছি। এটা খুব কঠিন একটা বিষয়।’
ফ্লোরিডার বৈঠকে যুদ্ধের চূড়ান্ত সমাধান না হলেও কথা অনেকটাই এগিয়েছে বলে দাবি ট্রাম্পের। তিনি জানান, যুদ্ধ কবে থামবে, তা নিয়ে কোনো সময়সীমা এখনই তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। তবে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে স্পষ্ট হবে, আদৌ সমঝোতা হবে কি না।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমরা আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছি। দেখি কী হয়। যদি সমাধান না হয়, তা হলে এই যুদ্ধ আরও অনেক দিন ধরে চলবে।’ যুদ্ধ থামাতে ইউক্রেনে গিয়ে বৈঠক করবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প জানান, যদি ২৫০০০ মানুষের প্রাণ বাঁচে, তবে তিনি রাজি আছেন।
জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করার ঠিক আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। জানান, পুতিন শান্তি স্থাপনের বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপকে ‘খুব ভাল ও ফলপ্রসূ’ বলেও উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাশিয়ার সাবেক রাষ্ট্রদূত ইউরি উশাকভ জানান, রোববার ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে এক ঘণ্টা ১৫ মিনিটের ফোনালাপ হয়। আলোচনাকে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ, সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং কার্যকর’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দুই নেতা স্থায়ী শান্তিপূর্ণ সমাধানে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলেও জানান।
ইউক্রেন ও ইউরোপীয় মিত্রদের প্রস্তাবিত অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিরোধিতা করেন দুই নেতা। পুতিন ও ট্রাম্পের মতে, সাময়িক যুদ্ধবিরতি সংঘাত দীর্ঘায়িত করতে পারে এবং নতুন করে যুদ্ধ শুরুর ঝুঁকি তৈরি করবে।
ফোনালাপে ট্রাম্পের প্রস্তাবে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে কাজ করতে দুটি যৌথ ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠনে সম্মত হন পুতিন। এছাড়া জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর আবারও কথা বলার বিষয়ে একমত হন দুই নেতা।
0 Comments
No Comment YetLeave A Reply